উৎসবমুখর পরিবেশে নবীন বরণ সাত কলেজের
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৪৭
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ক্যাম্পাসগুলোতে নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরেছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনে নবীনদের চোখে মুখেও ছিল খুশির ঝিলিক। সবকিছু ছাপিয়ে প্রাণচঞ্চল ছিল ক্যাম্পাসের সবুজ আঙ্গিনাগুলো।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজে স্নাতক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতটি কলেজের প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে রজনীগন্ধা, গোলাপফুল, কলম, বই ও ফাইল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে নবীন শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনের অনুভূতি জানিয়ে সরকারি তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘ দুই বছর পর আমরা আমাদের স্নাতক জীবন শুরু করলাম। আজকের দিনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে ভয় ছিল নতুন স্থান কেমন হবে। কিন্তু এসে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র পেলাম। সবাই খুব আন্তরিক। সব মিলিয়ে তিতুমীর কলেজে পড়তে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
কলেজটির অর্থনীতি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, অপেক্ষায় ছিলাম কবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু হবে। আজ সেই বহুল প্রতীক্ষিত দিন। এটি আমার স্বপ্নের ক্যাম্পাসের মতোই। প্রথম পছন্দ ছিল তিতুমীর। ক্যাম্পাসে এসেই এক ধরনের উৎসবের আমেজ পেলাম। খুব গোছাল ছিল সব আয়োজন। শিক্ষক ও সিনিয়রদের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ।
সরকারি বাংলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার প্রত্যাশা ছিল অনেক সুন্দর ও বড় একটি ক্যাম্পাসে পড়ব। ক্যাম্পাসে এসে দেখলাম, যেমন চেয়েছিলাম তেমনই। বাংলা কলেজ অনেক সাজানো আর সুন্দর ক্যাম্পাস। এমন একটি ক্যাম্পাস পেয়ে আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত আর গর্বিত।
কবি নজরুল কলেজের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজে পড়ালেখা করব। আজ তা পূরণ হয়েছে। আমার খুব আনন্দ লাগছে। সত্যি ক্যাম্পাসটি খুব সুন্দর।
তিতুমীর কলেজের উপাধক্ষ্য অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন গণিত বিভাগে উপস্থিত হয়ে নবীনদের উদ্দেশে বলেন, তিতুমীর কলেজে তোমাদের আমি স্বাগত জানাচ্ছি। যারা ধৈর্য ধরে, অনেক সময় নিয়ে কাজ করে তারা অনেক বড় হয় জীবনে। তোমাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। তোমরা এখান থেকে জীবন গড়ো। মা-বাবা সবসময় সন্তানের মঙ্গল কামনা করে। তেমনি আমরাও তোমাদের মঙ্গল কামনা করি। তোমরা এখানে পড়ে ভালো মানুষ হও, পরিবার ও সমাজের কাজে লাগো, দেশের কাজে লাগো— এটুকুই কামনা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে এদিন অনেক অভিভাবকের উপস্থিতিও দেখা গেছে সাত কলেজের ক্যাম্পাসগুলোতে। সন্তানদের স্বপ্নপূরণের অন্যতম এই ধাপের সূচনাপর্বে তাদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।
সারাবাংলা/এনএসএম/টিআর