ফের সক্রিয় ছিনতাইকারী দল ‘হামকা গ্রুপ’, গ্রেফতার ৩
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:১২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে অস্ত্রসহ তিন ‘ছিনতাইকারীকে’ গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার তিন জন এক যুগ আগে নগরী দাপিয়ে বেড়ানো দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী দল ‘হামকা গ্রুপের’ সদস্য। পুলিশের প্রতিরোধের মুখে গ্রুপ ভেঙে গেলেও সম্প্রতি তারা ফের সংগঠিত হয়ে ছিনতাই-ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে এলজি-কার্তুজসহ আরও বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার তিনজন হলো- আনোয়ার হোসেন (৩৪), বশির আহম্মেদ রনি (৩৫) এবং আবুল হোসেন সজীব (২৮)।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোমিনুল হাসান সারাবাংলাকে জানান, ছিনতাই করার জন্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আট জন জড়ো হয়েছিল। গুপ্তচরের দেওয়া তথ্যে তাৎক্ষণিক অভিযানের সময় পুলিশ দেখে তারা পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার তিনজনই ‘হামকা গ্রুপের’ সদস্য জানিয়ে মোমিনুল বলেন, ‘হামকা গ্রুপের যে মূল লিডার সে দণ্ডিত হয়ে জেলে আছে। বাকি সদস্যদের বিভিন্ন সময় পুলিশ একাধিকবার গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে তাদের গ্রুপ ভেঙে দিতে সক্ষম হয়। তবে তারা জামিনে বেরিয়ে আবারও ডাকাতি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়াচ্ছে। ২০২০ সালে এই গ্রুপের পাঁচজনকে আমরা গ্রেফতার করেছিলাম।’
গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে ডাকাতি-ছিনতাইয়ের অভিযোগে ও অস্ত্র আইনে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। আনোয়ারের বিরুদ্ধে নগরীর ডবলমুরিং, হালিশহর, কোতোয়ালি ও চাঁন্দগাও থানায় ১১টি, বশিরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় চারটি এবং সজীবের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি ও বরগুনা সদর থানায় তিনটি মামলা আছে বলে এসআই মোমিনুল জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ১২ বছর আগে চট্টগ্রাম শহর দাপিয়ে বেড়াত ছিনতাইকারী দল হামকা গ্রুপের সদস্যরা। গলায় গামছা পেঁচিয়ে টার্গেট করা ব্যক্তিকে দুর্বল করে ছিনতাই করা ছিল তাদের কৌশল। ২০১৭ সালে হামকা গ্রুপের মূল নেতা নুর আলম গ্রেফতারের পর দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। এরপর হামকা গ্রুপ ভেঙে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। গ্রেফতার কয়েকজন জামিনে বেরিয়ে ফের সংগঠিত হয়ে অপরাধ শুরুর পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম