Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অয়েল ট্যাংকার থেকে ভোজ্যতেল চুরি, খালাসের সময় আটক ১২

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:২১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে অয়েল ট্যাংকার থেকে বেসরকারিভাবে আমদানি করা অপরিশোধিত ভোজ্যতেল চুরি করে খালাসের সময় একটি লাইটারেজ জাহাজ ও দু’টি ভাউচার জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। লাইটারেজের পাঁচ শ্রমিকসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় লাইটারেজ থেকে ভাউচারে খালাসের সময় খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয় বলে জানান চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কীর্তিমান চাকমা।

বিজ্ঞাপন

আটক পাঁচ লাইটারেজ শ্রমিক হলেন- হুমায়ুন কবির (৪৫), ফিরোজ ব্যাপারী (২৭), দুলাল ব্যাপারী (৫৫), আব্দুর রহমান (২২) ও মো. সাকিল (২১)। বাকি সাতজন ভাউচারের শ্রমিক।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কীর্তিমান চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে মাদার ভ্যাসেল থেকে অপরিশোধিত ভোজ্যতেল সংগ্রহ করে একটি অয়েল ট্যাংকার । সেই ট্যাংকার তেল খালাসের জন্য জেটিতে পৌঁছার আগেই লাইটারেজে বিপুল পরিমাণ তেল নেওয়া হয়। পরে ভাউচারে খালাসের জন্য আনা হয় পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর ১২ নম্বর ঘাটসংলগ্ন ইনকনট্রেন্ড কনটেইনার ডিপোর অদূরে। ভাউচারে খালাসের সময় আমরা অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করি।’

‘আমাদের ধারণা, আমদানিকারকের অজ্ঞাতে তাদের প্রতিষ্ঠানের অথবা সংশ্লিষ্ট কেউ তেল চোরচক্রের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে সেগুলো অয়েল ট্যাংকার থেকে লাইটারেজে পাচার করেছে। তেলগুলো খুচরা বাজারে নিয়ে খোলা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রির পরিকল্পনা তাদের ছিল’- বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, ‘প্রাথমিকভাবে নৌ পুলিশ তথ্য পেয়েছে- তেলগুলো টিকে গ্রুপের এবং শবনম-ফোর নামে অয়েল ট্যাংকারটিও তাদের নিজস্ব। যে লাইটারেজ জাহাজে চুরি করা তেলগুলো নেয়া হয়েছিল, তানিশা এন্টারপ্রাইজ নামে সেই জাহাজটির মালিক হারুন নামে একজন।

বিজ্ঞাপন

‘আমরা জানতে পেরেছি, অয়েল ট্যাংকারটি টিকে গ্রুপের ১২ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে সেখানে তেলগুলো খালাসের কথা ছিল। কিন্তু বহির্নোঙ্গর থেকে জেটির যাত্রাপথে তেল চলে যায় লাইটারেজ জাহাজে। লাইটারেজ থেকে তেলগুলো পাইপ টেনে তেলের ভাউজারে নেয়া হচ্ছিল। লাইটারেজ ও দুইটি ভাউজার পুলিশ আটক করেছে। তবে লাইটারেজে কী পরিমাণ তেল ছিল সেটা পরিমাপ করা যায়নি।’

ওসি মিজানুর রহমান আরও জানান, তেল খালাসের সময় সংশ্লিষ্টরা কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তবে তেলের মালিকপক্ষ হিসেবে দাবি নিয়ে কেউ নৌ পুলিশের কাছে বিকেল পর্যন্ত আসেনি। এ অবস্থায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

অয়েল ট্যাংকার ভোজ্যতেল চুরি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর