শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ৯ দফা দাবি প্রশিপের
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:২৫
ঢাকা: শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ নয় দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে প্রধান শিক্ষক পরিষদ (প্রশিপ)। এসব দফার মধ্যে ঈদের আগে পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দেওয়া, সরকারির মতো বেসরকারি প্রধান শিক্ষকদের ৬ষ্ঠ ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ৭ম বেতন স্কেল দেওয়ার দাবিও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশিপ এ দাবি জানায়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান শিক্ষক পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান শিক্ষক পরিষদের দাবিগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে, সরকারি এবং বেসরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করে আগের মতো একই স্কেলভুক্ত করতে হবে। এমপিওভুক্ত বেসরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করে সরকারি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মতো ৬ষ্ঠ গ্রেডে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ৭ম গ্রেডে বেতন দিতে হবে।
দ্বিতীয় দাবি হিসেবে এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করার কথা বলেছে তারা। তৃতীয় দফায় আসন্ন ঈদের আগে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দেওয়া। সরকারির মতো বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেওয়ার লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়াও শূন্য পদের বিপরীতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি এবং প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের পর্যাপ্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া, সহকারী শিক্ষকদের ১২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকা সাপেক্ষে আগের মতো প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া।
সাধারণ শিক্ষকদের মতো প্রধান শিক্ষক-অধ্যক্ষদের দু’টি উচ্চতর স্কেল দেওয়া এবং প্রধান শিক্ষকদের পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা সাপেক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসেবে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেওয়া।
দাখিল মাদ্রাসার স্তর পরিবর্তন করে আলিম মাদ্রাসায় উন্নীত হলে আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের ৫ম গ্রেডে বেতন পান। একইভাবে মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হলে অধ্যক্ষদেরকেও ৫ম গ্রেডে বেতন দেওয়া। সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মাদ্রাসার মতো উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া।
যোগ্যতার ভিত্তিতে মাউশি, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, জেলা শিক্ষা অফিসসহ মাধ্যমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে স্বীকৃতি ও কমিটি বন্ধ করা যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে আগে হাউজিং থেকে বরাদ্দ করা জমি প্রতীকী মূল্যে দায়মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া।
কোনো শিক্ষককে ছয় মাসের বেশি সময় সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে না মর্মে হাইকোর্টের রায় অনুসারে অতিদ্রুত সরকারি গেজেট প্রকাশ করার দাবিগুলো রয়েছে।
সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম