ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপর, আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেউ চোখ রাঙিয়ে কথা বলবেন এরকম বেয়াদব কর্মী আমাদের দরকার নেই বলে হুঁশিয়ারি করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ কাজীপুর উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা শাখা’র ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসএম কামাল হোসেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কথা ভাবেন, মানুষের জন্য স্বপ্ন দেখেন, মানুষের চোখের ভাষা বোঝেন। তাই আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি আমাদের শেখ হাসিনা তখন ফজরের নামাজ পড়ে পদ্মা সেতুতে ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে ছুটে যান।’
করোনায় সারাবিশ্ব যখন ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল তখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্ষতবিক্ষত হয়নি। ওই বিএনপি জামায়াত বলেছে, ‘বাংলাদেশে ২০ লাখ লোক না খেয়ে মারা যাবে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশে একটি লোকও না খেয়ে মারা যায়নি। বরং অর্থনীতির ভিত্তির উপর বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে ছিল।’
আমাদের সেই শেখ হাসিনা আছেন। যে শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২২ হবে বাঙালির জন্য তাক লাগানোর বছর। ২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলবে। যে পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি জামায়াত ষড়যন্ত্র করেছিল। মেট্রোরেল হচ্ছে, কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে আমাদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
জাতীয় চার নেতার সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের স্মৃতিচারণ করেন এস এম কামাল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের নেতিবাচক মন্তব্যের জবাবে এসএম কামাল বলেন, ‘যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এমন কোনো মন্তব্য করে যা আমাদের সহ্যের বাইরে চলে যায়, তাদেরকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের কর্মী হবেন, ছাত্রলীগের কর্মী হবেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী হবেন, যুবলীগের কর্মী হবেন আর রাস্তায় যারা শেখ হাসিনাকে গালি দিবে আর আপনি শুনবেন ওই কর্মীর দরকার নেই।’
২০২৩ সালে সংবিধানে ভিত্তিতে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে যদি কেউ আসে ভালো কথা। যদি কেউ না আসে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়, সেই ব্যারিকেড যাতে কেউ দিতে না পারে, ঘর থেকে বের হতে না পারে সেই শপথই আমাদের নিতে হবে বলে মনে করেন এস এম কামাল।
সম্মেলন মঞ্চে কাউন্সিলর ডেলিগেটদের সমর্থনে পরে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে পরামর্শ করে প্রথম অধিবেশনেই নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান , স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, প্রধান বক্তা হিসাবে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য বক্তব্য রাখেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু বিমল কুমার দাস, আব্দুর রহমান, সদস্য জান্নাত আরা হেনরী,, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে. এম হোসেন আলী হাসান। কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলন পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী।