মূল উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া: ফখরুল
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:৪৫
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া।
পিলখানা ট্রাজেডির ১৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি গোটা জাতির জন্য অত্যন্ত শোকাবহ দিন এবং একই সঙ্গে আতঙ্কের দিন। এই দিনে এই ঘটনা-দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ সেনাবাহিনীর ৫৬ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এটা কেবল বিদ্রোহ ছিল না। এর পেছনে সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল। মূল উদ্দেশ্যটা ছিল, সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া। দুর্ভাগ্য আমাদের, এতবছর পরও তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এর পেছনে কারা ছিল, কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছিল- তা এখনো জানা যায়নি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধেও আমাদের এত কর্মকর্তা মারা যাননি, চলে যাননি। কিন্তু এখানে ৫৬ জন কর্মকর্তা চলে গেছেন। পরবর্তীকালে বিডিআরকে ভেঙে নতুন করে প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে, হাজারো বিডিআর সৈনিকের বিচার করা হয়েছে। কিন্তু এর পেছনে সত্যিকারে কারা ছিল, তার সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট এখনো আমরা পাইনি। সেনাবাহিনী যে তদন্ত করেছিল, তারও রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজকে এখানে এসেছি আমাদের জাতির গৌরব এবং জাতিকে রক্ষা করবার জন্য, দেশকে রক্ষা করবার জন্য যারা শপথ নিয়েছিলেন তাদের জন্য শোক প্রকাশ করতে। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করতে। খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আজকে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও বিএনপির চেয়ারপারনের প্রেসউইং সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এএম