লালমনিরহাটে শিলাবৃষ্টি-ঝড়ে ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড, ফসলের ক্ষতি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:০৬
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১০ মিনিটের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান, ভুট্টা ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বেশকিছু বাড়ি-ঘরেরও ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় গাছপালা উপড়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলা, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের উপর দিয়ে এই ঝড় ও শিলা বৃষ্টি বয়ে গেছে। তিস্তার চরাঞ্চলগুলোতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঝড়ো হাওয়ায় উপড়ে গেছে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি। ধান ও ভুট্টা গাছগুলো হেলে পড়েছে। তামাক গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝড়ের আঘাতে অধিকাংশ ঝুপড়ি ঘর, টিনশেড ঘর, সেমিপাকা ভবন, দোকানপাট, বিদ্যুৎতের খুঁটি, গাছপালা ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করছে। বড় বড় আকারের শিলার আঘাতে অনেক হালকা ও পুরনো টিনের ঘর ফুটো হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা জানান, শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ করে আকাশ অন্ধকার হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরেই প্রবল বেগে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। নিমিষেই ঘরবাড়ি দোকানপাট লণ্ডভণ্ড করে দেয়। এ ঘটনায় অনেক মানুষ নিজের ঘরসহ আসবাবপত্র রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
তারা আরও জানান, এই জেলায় ভুট্টা, তামাক ও আদার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে খাদ্য সংকটের শঙ্কায় দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলায় শিলাবৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণও বেশি বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন কৃষকরা।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ত্রাণ সহায়তা করা হবে। একইসঙ্গে কৃষকরা যেন ক্ষতির মুখে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রেখে কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করবেন।’
সারাবাংলা/এমও