ডিএমপির কারণেই ঢাকা শহরে শান্তির সুবাতাস বইছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৪৪
ঢাকা: করোনা অতিমারির সময় ছেলে তার মায়ের লাশটাকেও দেখতে যায়নি। কিন্তু পুলিশ মাঠে থেকে কাজ করেছে, লাশের গোসল করিয়েছে এবং লাশ দাফন করেছে। এটি ডিএমপি ঢাকা শহরে করেছে। শুধু তাই নয় পুলিশ আজ সারাবিশ্বে আলোচিত হচ্ছে। আজকে শেখ হাসিনার পুলিশ সুসজ্জিত। এতবড় একটি শহরে এত এত লোক বাস করে সেখানে ডিএমপির মেধাবী অফিসারদের দক্ষতায় আজ ঢাকা শহরে শান্তির সুবাতাস বইছে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত ডিএমপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আকতার হোসেন বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো। এত মানুষের শহরে দুএকটি ঘটনা কোনো ব্যাপার না। আগে পত্রিকার পাতা খুললে দেখা যেতো খুন, লাশ, ধর্ষণ আর মাস্তানদের প্রতিযোগিতা। অমুকবাহিনীর হাতে অমুক খুন। কিন্তু এখন আর তা দেখা যায় না।’
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের সবচেয়ে এই বড় ইউনিটটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে আসছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ডিএমপির সদস্যরা সব ধরনের বড় বড় ইভেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাস্তবায়ন করে থাকে। পুলিশের এই সংস্থাটি দিন দিন এগিয়ে যাবে- এই প্রত্যাশায় করছি।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আগামী দিনে ডিএমপির দুইটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একটি হলো মাদক আর অন্যটি হলো সাইবার অপরাধ। মাদক নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, আমরা সরবরাহ বন্ধে কাজ করি। কিন্তু চাহিদা লাইনে আমরা কাজ করি না। চাহিদা একমাত্র কমাতে পারে কেবল জনগণ। সুতরাং যতবেশি চাহিদা কমানো যাবে ততই সরবরাহ কমবে। কাজ করতে সুবিধা হবে।’
আর সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে কাজ করা হচ্ছে। এটিও সকলের সহযোগিতায় কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করি। সাইবার অপরাধ তরুণদের মধ্যে সংঘটিত হচ্ছে। তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে বেশি বেশি।
আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকে। আমি কথা দিচ্ছি কোথাও কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে, কোথাও অনিয়ম হলে আমাদের জানান। বিচার পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
‘আপনি যখন ঘুমান, তখন আমরা রাত জেগে দায়িত্ব পালন করছি। আপনি যখন ঈদে বাড়িতে যান তখনও আমরা এই শহরে ডিউটি করছি। আপনার সন্তান যখন স্কুল কলেজে পরীক্ষা দিচ্ছে তখন আমাকে কন্ট্রোল রুমে থাকতে হচ্ছে, আপনার সন্তান সময়মতো সঠিকভাবে পৌঁছালো কি না। অথচ আমার সন্তানও একজন পরীক্ষার্থী।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ধারণার বশবর্তী হয়ে আমাদের সমালোচনা করবেন না। ঘুষখোর বলবেন না। বিগত কয়েকটি নিয়োগে কোনো প্রকার ঘুষ লেনদেন হয়নি। চ্যালেঞ্জ করছি কেউ প্রমাণ নিয়ে আসতে পারেন। যোগ্যতায় ও মেধাবীরা পুলিশে চাকরি পাবেন এবং পাচ্ছেন। আমাদের কেউ কেউ আপনাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। ডিএমপি পুলিশে যে কজন খারাপ লোক আছেন তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ চলছে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। সবাইকে শাস্তির আওতায় আসতে হয়।’
সারাবাংলা/ইউজে/একে