ইউক্রেন যুদ্ধ: টিন্ডারেও আগ্রাসী রুশ সেনাবাহিনী
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:২৭
ইউক্রেনে পুতিন ঘোষিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চলছে, তার মধ্যেই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ্লিকেশন টিন্ডার ব্যবহার করে ইউক্রেনের নারীদের নজর কাড়তে রুশ সেনারা নানান কসরত চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট।
ইউক্রেনের নারীদের টার্গেট করে অস্ত্র হাতে সামারিক সাজে ছবি পাঠাচ্ছেন তারা। কয়েকজন পুরুষাঙ্গের ছবিও পাঠিয়েছেন বলে নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। রুশ সেনাদের কেউ কেউ নিজেদের লোকেশনের ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়ে নারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
তবে, ইউক্রেনের কয়েকজন নারী তাদের অভিজ্ঞতার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে বলেছেন, শত্রু সেনার সঙ্গে ডেটিংয়ে যাওয়ার রুচি নেই তাদের। নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আতঙ্কে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এদিকে, এসব খবর চাউর হয়ে যাওয়ার পর রুশ সেনা সদস্যদের ওপর সেলফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
কিয়েভের অধিবাসী এক নারী বলছেন, বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে রুশ সেনারা তার টিন্ডারে বার্তা পাঠাচ্ছেন। তাদের অবস্থান কিয়েভ থেকে মাত্র ২০ মাইলের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, রুশ সেনারা ইউক্রেনের নারীদের বিভ্রান্ত করে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চাচ্ছে। যেমন: সামরিক অবস্থান পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে খারকিভের উত্তরাঞ্চলে সেনা সমাবেশ করেছে রাশিয়া।
আরেক এক নারী নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, টিন্ডারজুড়ে রুশ সেনাদের বিচরণের মুখে তিনি কিয়েভ ছেড়ে খারকিভে পালিয়ে যান।
আতঙ্কগ্রস্ত ওই নারী বলেন, পেশীবহুল এক পুরুষ বিছানায় পিস্তলসহ ছবি পাঠিয়েছেন। নিজের আবেদন বাড়াতে সামরিক পোশাকে ছবি পাঠিয়েছেন। কেউকেউ ডোরাকাটা আঁটসাঁট ভেস্ট পরা ছবিও পাঠিয়েছেন।
৩১ বছর বয়সী আন্দ্রেই নামে একটি প্রোফাইলের সঙ্গে মেসেজ বিনিমিয় হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাকে ছবিতে যুদ্ধের সাজে কালাশনিকভ রাইফেল হাতে, হেলমেট মাথায় দেখা যাচ্ছিল।
তিনি আন্দ্রেইয়ের কাছে জানতে চান, ইউক্রেনে আসার ইচ্ছা আছে কি না? আন্দ্রেই বলেন, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করার পর তাকে আর ইউক্রেনে ঢুকতে দেওয়া হয় না।
ব্ল্যাক নামের ৩৩ বছর বয়সী আরেকটি প্রোফাইল থেকে টিন্ডার বার্তায় পুরুষাঙ্গ দেখানোর চেষ্টা করছিলেন বলেও দাবি করেন ওই ইউক্রেনিয় নারী।
সামরিক গোয়েন্দারা বলছেন, খারকিভের উত্তরাঞ্চলে হামলা চালানোর প্রাক্কালে টিন্ডারে এসব ছবি ছড়ানোর দায়িত্বে ছিল রুশ সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট।
সারাবাংলা/একেএম