‘কোনো অপশক্তি বাংলাদেশ-ভারতের সুসম্পর্ক নষ্ট করতে পারবে না’
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৪৬
ঢাকা: কোনো অপশক্তি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান সুদৃঢ় এবং সুসম্পর্ককে নষ্ট করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নষ্ট করতে সবসময়ই অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবে তারা সফল হবে না। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক পারস্পরিক অস্তিত্বের ঐতিহ্যসূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশ-ভারত নৈকট্য ও বন্ধুত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী নগরীর নগরভবনের গ্রিনপ্লাজায় বাংলাদেশ- ভারত ৫ম সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক শক্তি, বাঙালি চেতনার শক্তি, ধর্মীয় নিরপেক্ষতার যে শক্তি রয়েছে, সেই শক্তিকে শক্তিশালী করতে হবে। এ বিষয়ে উভয় দেশের সম্পর্ক জোরদার করতে হবে, যাতে অপশক্তি সফল না হয়। সম্পর্ককে আরও গভীর করে দুই দেশকে একসঙ্গে বিকশিত হতে হবে।’
ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। দুটি পৃথক রাষ্ট্র হলেও এ অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, জলবায়ু, ভূপ্রকৃতি, খাবার, মানুষের আবেগ ও জীবনাচরণসহ অনেক বিষয়ে অসাধারণ মিল ও সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই, দুদেশের সীমানাপ্রাচীর মানুষের মেলবন্ধনের বাধা হতে পারে না। সীমানা বা বর্ডার আজ বাস্তবতা, কিন্তু এটি অন্য সব কিছুর উপরে স্থান পেতে পারে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও নিবিড় ও ঘনিষ্ঠ করবে। উভয় দেশের মানুষের মধ্যে মেলবন্ধনকে আরও গভীর করবে বলে আমি আশা করি। শুধু সাংস্কৃতিক নয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সম্পর্ককেও শক্তিশালী করবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মিলনমেলার আহ্বায়ক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল বক্তব্য দেন। ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক সামছুল আরেফীন, ভারতের সত্যম রায় চৌধুরী প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
তিন তিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, বিহার রাজ্য থেকে ৪০ জন অতিথি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ভারতীয় অতিথিদেরকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম