১ মার্চ থেকে ২ মাস ৫ অভয়াশ্রমে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

ঢাকা: দেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণের জন্য দুই মাসের জন্য দেশের পাঁচ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আগামীকাল মঙ্গলবার (১ মার্চ) থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদী।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ মাছ ধরলে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

পাঁচটি অভয়াশ্রমের মধ্যে রয়েছে— চাঁদপুর জেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা; শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা; এবং বরিশাল জেলার হিজলা, মেদেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০-এর ধারা ৩-এর উপধারা ৫-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারঘোষিত এ পাঁচটি অভয়াশ্রমে প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ, জাটকাসহ (২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ইঞ্চি অকারের ইলিশ) সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। এ সময় অভয়াশ্রমে মাছ আহরণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট জেলায় এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের এরই মধ্যে ৮০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

২ মাসের নিষেধাজ্ঞা টপ নিউজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা