ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য বন্ধুকে হত্যা, আটক ৪
১ মার্চ ২০২২ ১৬:০৫
কক্সবাজার: ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে পরিকল্পিতভাবে ছুকিকাঘাতে হত্যা করা হয় বন্ধুকে। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর নিহতের জানাজাতেও অংশ নেয় খুনিরা। এদিকে ঘটনার চার দিন পর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) ভোরে অভিযান চালিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার এ তথ্য জানান। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রামুর মরিচ্যা চেকপোস্ট সংলগ্ন ব্রিজের পাশে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ ওয়ায়েজ (১৩) শহরের নাজিরারটেক এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। ওয়ায়েজের শরীরে ১৮টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আটক চারজন হলেন— নুরুল ইসলাম প্রকাশ গুরাইয়া, আবু হেনা ওরফে হানিফ, রোহিঙ্গা মোহাম্মদ হোসেন ও আরিফ হোসেন। এর মধ্যে গুরাইয়া এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা করেন। এছাড়া হোসেন ও আরিফ আন্তঃজেলা ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের সদস্য।
গুরাইয়ার দেওয়া তথ্যের রবাত দিয়ে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক নিত্যনন্দ দাশ বলেন, গুরাইয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ওয়ায়েজকে রামুর মরিচ্যা চেকপোস্টের পাশের ব্রিজে নেওয়া হয়। সেখানে গেলে অপর বন্ধু হানিফ তাকে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরেন। আর গুরাইয়া তাকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে পরিকল্পনা মতো তার মরদেহ ফেলে ইজিবাইকটি নিয়ে অপর দুইজন মোহাম্মদ হোসেন ও আরিফ হোসেন পালিয়ে যান। পরে তাদের ক্যাম্প এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ‘তারা চারজনই ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ ওয়ায়েজের কাছের বন্ধু। লাশ উদ্ধারের পর জানাজায় অংশ নেয় খুনিরা।’
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, র্যাব চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উন্মোচনে ছায়া তদন্ত শুরু করে। অভিযান চালিয়ে এই চার জনকে আটক করে।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রামু উপজেলার মরিচ্যা চেকপোস্ট সংলগ্ন ব্রিজের পাশ থেকে ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ ওয়ায়েজের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার শরীরে অন্তত ১৮টি ছুরিকাঘাতের কথা জানায় পুলিশ। ২৮ ফেব্রুয়ারি নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রামু থানায় মামলা দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এনএস