কাতার থেকে আরও বেশি এলএনজি আমদানি করতে চায় সরকার
২ মার্চ ২০২২ ১০:০২
ঢাকা: জ্বালানি সমৃদ্ধ দেশ কাতার থেকে আরও জ্বালানি আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দেশটির সঙ্গে বিদ্যমান এলএনজি বিক্রয় ও ক্রয় চুক্তির (এসপিএ) ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আরও বেশি এলএনজি আমদানি করতে আগ্রহী।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) কাতারের দোহায় হোটেল শেরাটনে দেশটির জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সা’দ শেরিদা আল কাবিরের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে বার্ষিক অতিরিক্ত ১ মিলিয়ন টন এলএনজি (এমটিপিএ) কাতার থেকে নিতে চাই যা, একটি সাইড লেটার চুক্তির মাধ্যমে কার্যকর করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে কাতার বাংলাদেশি অভিবাসীদের একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়েছে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের জন্য কাতার গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারে পরিণত হয়েছে। এ সময় তিনি জ্বালানি সহযোগিতা বাড়ানোর অনুরোধ জানান কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর কাছে।
২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি কাতরের জ্বালানি ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝোতা স্মারকের আলোকে ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বার্ষিক ১.৮-২.৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) পরিমাণ এলএনজি সরবরাহের জন্য ১৫ বছর মেয়াদী এলএনজি সেলস এন্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট (এসপিএ) স্বাক্ষর হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৭ কার্গোতে ৮.৪২৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি ক্রয় করেছে পেট্রোবাংলা। সাইড লেটার চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ বার্ষিক অতিরিক্ত ১ মিলিয়ন টন এলএনজি (এমটিপিএ) কাতার থেকে আমদানি করতে চায়। কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সা’দ শেরিদা আল কাবির বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং কাতার গ্যাস ও কাতার এনার্জিকে পেট্টোবাংলার সঙ্গে বসে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার নির্দেশ দেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কাতারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সা’দ শেরিদা আল কাবির এবং বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে কাতার গ্যাসের সিইও শেখ খালিদ বিন খলিফা আল-থানি, কাতার এনার্জির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) জসিম আল মারজুকি, পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/এএম