Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টিসিবি ডিলারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২ মার্চ ২০২২ ১৮:২৫

বরিশাল: ঝালকাঠির নলছিটিতে উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রিপন কুমার মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক ডিলারের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছেন ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ষাইটপাকিয়া গ্রামের মো. মামুন জোমাদ্দার। তবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রিপন কুমার মিস্ত্রী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২ মার্চ) সকালে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও রুম্পা সিকদার। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাটি পুনঃতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে মামুন জোমাদ্দার বলেন, মেসার্স মাকসুদ ট্রেডার্স নামে একটি টিসিবি ডিলারের স্থানীয় ষাইটপাকিয়া বাজারে বা অন্য কোথাও কোনো দোকান নেই। ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. আরাফাত খান মুদি ব্যবসায়ীও নন। ওই ডিলারের টিসিবি পণ্য উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও তিনি সেখানে সঠিকভাবে বিতরণ করেন না। ওই পণ্য তিনি কালোবাজারে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ আছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রিপন কুমার মিস্ত্রী অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রেমহার এলাকায় ওই ডিলারের একটি গোডাউন আছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে ওই ডিলারের কোনো গোডাউন নেই। সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। বিষয়টি পুনঃতদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে বলে দাবি করেছেন মামুন।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেসার্স মাকসুদ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আরাফাত খান। তিনি বলেন, আমি মুদি ব্যবসায়ী। আমার গোডাউনও আছে। আর আমি কালোবাজারে টিসিবি পণ্য বিক্রি করি না। অভিযোগকারী মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আরাফাত বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে যা পেয়েছেন, তাই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তের দায়িত্বে থাকা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নলছিটি শাখার ব্যবস্থাপক রিপন কুমার মিস্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তদন্তটি এসেছিল। ওই ডিলার মুদি ব্যবসায়ী কি না ও তার গোডাউন আছে কি না— এগুলো তদন্ত করতে বলা হয়েছিল। আমি প্রেমহার এলাকায় ওই ডিলারের একটি গোডাউন পেয়েছি। সেটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি।

বিজ্ঞাপন

তদন্তে ওই ডিলারের মুদি দোকান পেয়েছেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি রিপন কুমার মিস্ত্রী। টিসিবি ডিলারের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এ অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

জানতে চাইলে ইউএনও রুম্পা সিকদার বলেন, মঙ্গলবার (১ মার্চ) মামুন জোমাদ্দার নামে একজন লিখিত অভিযোগ করেছেন আমাদের কাছে। তিনি পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পুনঃতদন্তের জন্য আরেকজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর

টিসিবি ডিলার তদন্ত প্রতিবেদন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর