বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন’
২ মার্চ ২০২২ ২৩:৩৮
ঢাকা: আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্রের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এদেশে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একসঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করে। তাদের মধ্যে পারস্পারিক ভ্রাতৃত্বের অটুট বন্ধন বিরাজমান।
বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজধানী ঢাকার বাসাবোর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এ বাংলাদেশ কোনো হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান মুসলমানের নয়, এ বাংলাদেশ সমগ্র মানুষের জন্য। এ বাংলাদেশ সকল নাগরিকের’ শীর্ষক বক্তব্য তুলে ধরেন বিপ্লব বড়ুয়া।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনায় এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করতে পারছে। সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করছে।’
তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পবিত্র এ ধর্ম পিঠে বঙ্গবন্ধু কর্নার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফীজ সরাফাত।
এই দুই অতিথি মিলে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের ‘বিশুদ্ধানন্দ-শুদ্ধানন্দ’ অডিটোরিয়াম হলের দ্বিতীয় তলায় বঙ্গবন্ধু কর্ণার এর শুভ উদ্বোধন করেন।
নাফীজ সরাফাত বলেন, ‘বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ একত্রে শান্তিতে বসবাস করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সব নাগরিক সমান। সেই ধারাবাহিকতাায় তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং অসাম্প্রদাীয়ক বাংলাদেশের পক্ষে আপসহীন।’
বৌদ্ধ মহাবিহারে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ এর গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এ পবিত্র ধর্মস্থানে দেশি-বিদেশি অনেক অতিথি আসেন। এর মাধ্যমে তারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবেন। কর্ণারকে আরও উন্নত ও আকর্ষণীয় করতে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সব সময় পাশে থাকবে।’
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেনবাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ভদন্ত বুদ্ধুপ্রিয় মহাথের।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তার বক্তব্যে বাসাবো বৌদ্ধ বিহারের প্রয়াত অধ্যক্ষ একুশে পদকপ্রাপ্ত বৌদ্ধ ধর্ম গুরু শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
উল্লেখ্য, মহান ধর্মগুরুর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে বাসাবো বৌদ্ধ বিহারে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত তা চলবে অনুষ্ঠানের শেষ দিন শুক্রবারে এ ধর্মগুরুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। ২০২০ সালের ৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়। করোনার কারণে তার অন্ত্যেষ্টেক্রিয়া মৃত্যুর দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিন দিনের এ কর্মসূচিতে শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর জীবন ও কর্মের ওপর নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে তখন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের খোঁজ নিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছুটে গিয়েছিলেন ধর্মগুরু।
সারাবাংলা/এনআর/একে