শিগগিরই চূড়ান্ত হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী
৩ মার্চ ২০২২ ১৮:২৫
ঢাকা: তামাকের ব্যবহার কমাতে আইনের সংশোধনী আনতে যাচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে সে আইন চূড়ান্তও করে ফেলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া জানিয়েছেন আইনের সংশোধনী খসড়া শিগগিরই চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মাদকের প্রথম ধাপ হলো ধূমপান। সে জন্য ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে তামাকজাত দ্রব্যকে নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। অচিরেই এটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখা যাবে। আর এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের যে প্রত্যয়, তা পূরণ হবে।’
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য) কাজী জেবুন্নেছা বেগম বলেন, ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। রোড ম্যাপ ও পলিসি নিয়ে কাজের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রত্যেকে যদি যার যার জায়গা থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে তবে আমি বিশ্বাস করি অচিরেই আমাদের দেশ তামাকমুক্ত হবে।’
মাদক দ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, ‘ই-সিগারেটের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে অন্যান্য দেশগুলোর মতো আমাদেরও উচিত এটি নিষিদ্ধ করা। এ ছাড়া পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষার্থে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অতিথিরা ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের ‘তামাক ছাড়ুন, সুস্থ থাকুন’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, তামাক ছাড়তে উৎসাহীদের ও যারা তামাকবিরোধী কাজে সম্পৃক্ত আছেন তাদের এ বিষয়ে ধারণা দিতে উল্লেখযোগ্যভাবে ‘তামাক ছাড়ুন, সুস্থ থাকুন’ বইটি সহযোগিতা করতে পারে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণে একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। এ বইটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদেরও তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ও মৃত্যুহার কমাতে তামাকের ব্যবহার বন্ধ করা স্বাস্থ্যসেবার একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। তাই ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের তামাকবিরোধী কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ বইটি প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্মসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিশাখা) নিলুফার নাজনীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, মাদক দ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের হেড অব প্রোগ্রামস- বাংলাদেশ মো. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।
সারাবাংলা/জেআর/একে