চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে উপাচার্যের একান্ত সহকারী মিছবাহুল মোকর রবিনকে বদলিও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রবীনকে আগের কর্মস্থল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে বদলি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান সারাবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান বলেন, ‘অডিও রেকর্ড ফাঁসের পদক্ষেপ হিসেবে তাকে (মিছবাহু রবিন) বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের একান্ত সহকারী মিছবাহু মোকর রবিনের (পিএস) বিরুদ্ধে এসব লেনদেনে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও এসব ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডে এক বিভাগীয় সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক শাখার এক কর্মচারীর নামও উঠে এসেছে।
ফাঁস হওয়া অডিও রকর্ডে উপাচার্যের একান্ত সহকারী রবিনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ম্যাডামের সঙ্গে দেখা হলে তোমার কথা বলব। ম্যাডাম যেভাবে বলে সেভাবে হবে। চট্টগ্রামে দেখে তোমাকে টান দিলাম। তোমার ভাবির (মিছবাহু রবিনের স্ত্রী) জন্যও চেষ্টা করেছি, এটা (টাকা) দিতে পারিনি বলে হয়নি। আমার স্ত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছে। বর্তমানে সে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে আছে। বাস্তবতা যেটা সেটা আমি তোমাকে ইঙ্গিত করলাম।’
অপর একটি ফাঁস হওয়া রেকর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক শাখার বৃত্তি বিভাগের কর্মচারী আহমেদ হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি লবিং করছেন নাকি? বর্তমান পরিস্থিতি লেনেদেন ছাড়া কোনকিছু হচ্ছে না। আমি আপনাকে ভিসি ম্যাডামের সঙ্গে বসিয়ে দেব।’
নিয়োগ প্রার্থী টাকার পরিমাণ জানতে চাইলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘১৬ ধরা হয়েছে। এখানে এখন তৃতীয় শ্রেণিতে চাকরি পেতে ১২ লাখ এবং চতুর্থ শ্রেণির ঝাড়ুদার ও মালির চাকরি পেতেও ৮ লাখ নেওয়া হচ্ছে।’
