সাবরিনা দম্পতির মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ
৩ মার্চ ২০২২ ১৮:১১
ঢাকা: জেকেজি হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় তৃতীয় তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর জেরা শেষ হয়েছে। জেকেজি হেলথকেয়ারের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেন ও আরিফুল চৌধুরী দম্পতিসহ এই মামলার আসামি আট জন।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আসামিপক্ষের জেরা শেষ করেন। আগামী ২২ মার্চ মামলাটিতে পরবর্তী সাক্ষ্য নেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জানান, এ নিয়ে মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
মামলাটির অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত বাকি আসামিরা হলেন— সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস। আসামিদের সবাই কারাগারে রয়েছেন।
মামলাটির তদন্ত শেষে গত ৫ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এই অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।
গত বছর ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।
সারাবাংলা/এআই/টিআর