‘সাফারি পার্কের মতো প্রাণী মৃত্যুর ঘটনা যেন আর না ঘটে’
৩ মার্চ ২০২২ ১৮:২৯
ঢাকা: বিপন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষা করি, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসি— এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হলো বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। দিবসটি উদযাপনে আলোচনা সভাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বন অধিদফতর। সেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে জেব্রা মৃত্যুর মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ৫১টি এলাকাকে রক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে বলে অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন’ প্রবর্তন করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী অপরাধ উদঘাটনে তথ্য (প্রদানকারী) পুরস্কার বিধিমালা, ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী পাচার রোধ ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কাজ করছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বনবিভাগের কর্মীদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
বন্যপ্রাণী ও এর আবাসস্থল সংরক্ষণের জন্য বর্তমানে ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাসস্থল উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং ‘সুফল প্রকল্প’-এর মাধ্যেম বিভিন্ন ধরনের কাজ চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বনমন্ত্রী। তিনি বলেন, হাতি, বাঘসহ দেশের বন্যপ্রাণীগুলোকে রক্ষার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী বাংলা শকুন, পরিযায়ী পাখি, ডলফিন, তিমি, হাঙ্গর ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী, হাতিসহ বিভিন্ন প্রাণীর সুরক্ষায় সরকার গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ছাড়াও বন্যপ্রাণীর প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। এছাড়াও আলোচনা সভার পরে বিভিন্ন ধরনের বন্যপাখি অবমুক্ত করেন অতিথিরা। ঢাকার পাশাপাশি দেশের ২৪টি জেলা ও বিভাগীয় শহরে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সারাবাংল/জেআর/টিআর