এফএও’র আঞ্চলিক সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
৩ মার্চ ২০২২ ২১:৩৭
ঢাকা: কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এফএও’র আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ৮ মার্চ থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এই সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্টিয়ারিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, সম্মেলন আয়োজনের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই বৃহৎ সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজনের জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন, যেখানে এফএও’র এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো অংশ নেবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা আমাদের সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে সম্মেলন আয়োজনে আগ্রহী হয়।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, এফএও’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ রবার্ট সিম্পসনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান, এফএও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গম ভূট্টার টেকসই উৎপাদনে কাজ করবে সিমিট
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিমিট) প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। প্রতিনিধিদলে সিমিটের কান্ট্রি প্রতিনিধি টিমোথি জে. ক্রুপনিক, কান্ট্রি হেড (প্রশাসন) রায়হান সাদাত, ক্রপিং সিস্টেম এগ্রোনমিস্ট মহেশ কুমার গাথালা, বাকৃবির ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সিমিটের কনসালটেন্ট এমএ সাত্তার মণ্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সিমিটের কান্ট্রি প্রতিনিধি টিমোথি জে. ক্রুপনিক জানান বাংলাদেশে লবণাক্ততা, চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ বা ঘাতসহনশীল গম ও ভুট্টার জাত উন্নয়নে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে সিমিট। একইসঙ্গে দেশে গম ও ভুট্টার টেকসই উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে একত্রে কাজ করবে।
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বাংলাদেশে গত ১২ বছরে গম ও ভুট্টার উৎপাদনের সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে প্রায় ৫৭ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হয়। কিন্তু ভুট্টার প্রক্রিয়াজাত খুবই কম। দেশে কর্নফ্লেক্স, সিরিয়ালের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ভুট্টা থেকে প্রক্রিয়াজাত করে স্থানীয়ভাবে কর্নফ্লেক্স, সিরিয়াল তৈরির জন্য বিদেশি বিনিয়োগ দরকার।’
কেলগসের মতো প্রতিষ্ঠান যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে, সে বিষয়ে সিমিটের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী। মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহী আছে, এদের সঙ্গে কেলগস যৌথভাবেও বিনিয়োগ করতে পারে। এ বিষয়ে সিমিট উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানান সিমিটের কান্ট্রি প্রতিনিধি টিমোথি জে. ক্রুপনিক।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম