গোবিন্দগঞ্জে চাঞ্চল্যকর হাসনা খাতুন খুনের রহস্য উন্মোচিত
৩ মার্চ ২০২২ ২৩:৩১
গাইবান্ধা: গোবিন্দগঞ্জের বর্ধণকুঠি সরোবর থেকে হাসানা খাতুন হেমা’র (১০) লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর মসজিদের মুয়াজ্জিন মোরছালিন গলাটিপে হত্যা করে।
এরপর সুযোগ বুঝে হেমার মরদেহ বস্তাবন্দি করে বর্ধণকুঠি সরোবরে ফেলে দেয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হেমার লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান হেমা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল বেলা আরবি পড়ার জন্য বাড়ির পাশের মসজিদে যায়। তারপর থেকে সে আর বাড়ি ফেরেনি। তার স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা করে।
পরেরদিন বস্তাবন্দি অবস্থায় হাসনা খাতুন হেমার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন চার জনকে আটক করে।
এরমধ্যে মোরসালিন নামের হাফেজ মসজিদের মুয়াজ্জিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। সে জানায় প্রথমে হেমাকে ধর্ষণ করার পর তাকে গলা টিপে হত্যা করে। এরপর লাশটি বস্তাবন্দি করে গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনের সরোবরে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
সারাবাংলা/এমও