‘কলেজছাত্রী প্রিয়তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে অটোরিকশা চালক’
৪ মার্চ ২০২২ ১৬:১৬
নোয়াখালী: কোম্পানিগঞ্জের চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী শাহনাজ পারভিন প্রিয়তা (২২) খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুইজন আসামি।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জামিল মাঝি বাড়ির মকবুল আহাম্মদের ছেলে অটোরিকশা চালক মো. রুবেল (২৮) ও চরফকিরা ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মজিবুল হক মাস্টার বাড়ির মজিবুল হকের ছেলে মমিনুল হক ফারুক (৩০)।
শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে স্থানীয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মো. রুবেল পলাতক ছিল। পার্শ্ববতী সুবর্ণচর উপজেলার চররশিদ গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামির শ্বশুরবাড়ি থেকে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। তার গলার নিচে ভিকটিমের নখের আঁচড়ের দাগও পাওয়া গেছে।
কোম্পানিগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘটনার রাতে তরুণী রুবেলের অটোরিকশায় উঠলে সে সোজা পথে না গিয়ে কবরস্থানের রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যেতে থাকে। এতে তরুণী প্রতিবাদ করলে সে জানায়, এটা যাওয়ার সবচেয়ে সহজ পথ। তখন প্রিয়তি রিকশা থেকে নেমে ক্ষেতের মধ্য দিয়ে হাঁটা শুরু করলে রুবেল পেছন থেকে আসস্মিক আক্রমণ করে তার মুখ চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওড়না দিয়ে মুখ শক্ত করে বেঁধে আসামি রুবেল তাকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে সে দেখতে পায় ভিকটিম দমবন্ধ হয়ে মারা গেছে ।
পুলিশ জানায়, তখন রুবেল ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং পথিমধ্যে জামাইয়ের টেক মোড়ের মসজিদের পার্শ্বে খেতের মধ্যে মোবাইল থেকে সিম খুলে ভেঙে ছুড়ে ফেলে দেয়। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ আসামি রুবেলের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে নিহত তরুণীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ভিকটিমের দু’টি ভাঙা সিম কার্ড ও হত্যাকারীর অটোরিকশাটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কোম্পানিগঞ্জ থানায় ১ মার্চ লিখিত এজহার দাখিল করলে পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ধানখেত থেকে শাহানাজ পারভিন প্রিয়তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রিয়তা বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বসুরহাট মর্ডান হাসপাতালের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিল।
সারাবাংলা/এমও
অটোরিকশা চালক কলেজছাত্রী কোম্পানিগঞ্জ টপ নিউজ ধর্ষণের পর হত্যা নারীর মরদেহ নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভা