পটুয়াখালীতে বিএনপি-যুবলীগের সংঘর্ষে আহত ৩০
৫ মার্চ ২০২২ ১৬:৩০
বরিশাল: বিএনপির পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর দুমকিতে যুবলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিক, পুলিশসহ দুই পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় গ্রামীণ ব্যাংক সড়কে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সাতজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তিনজনকে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে শতাধিক নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। একইসময় সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে আওয়ামী যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল ওই এলাকা অতিক্রমকালে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এসময় দুই পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। যুবলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন।
দুই পক্ষের সহিংসতায় পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে বিএনপির আহ্বায়ক খলিলুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাওলাদার, ফারুক হাওলাদার, যুবদলের সদস্যসচিব রিপন শরীফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামীম হাওলাদার, শ্রমিক দলের সভাপতি হাবিবুর রহমান, পুলিশ কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেনসহ সাতজনকে দুমকি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ১৭ জনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলা-সংঘর্ষের ঘটনাটিকে যুবলীগ-বিএনপি পরস্পরকে দায়ী করেছে।
আহত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে দলীয় অফিস ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’
অন্যদিকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘সারা দেশে জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যুবলীগের মিছিলে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা করলে দুই পক্ষে সহিংসতা হয়।’
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
সারাবাংলা/এমও