ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গায় ৪৫৮২৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত
৬ মার্চ ২০২২ ০৮:০৮
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে জেলার ৪৫ হাজার ৮২৫ জন কৃষকের ২৪২ কোটি ২২ লাখ ২৬ হাজার ৮০০ টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। গত রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বয়ে যাওয়া এ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কৃষকদের ফসলের ক্ষতির পরিমান জানিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃপক্ষ।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ভুট্টা চাষিরা। জেলার ৩৯ হাজার ৭৫৯ জন কৃষকের ৭৯ হাজার ১০০ মেট্রিক টন ভুট্টা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ১৮৫ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এছাড়া ২০৫ জন কৃষকের ১৪৩.৫০ মেট্রিকটন গম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, ১ হাজার ২২৫ জন কৃষকের ৮৫৭.৫০ মেট্রিক টন বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৪ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
সবজির মধ্যে ৫৭১ জন কৃষকের ২ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন কলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৬ কোটি ৫০ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৩৪০ জন কৃষকের ১ হাজার ৬৩২ মেট্রিক টন পেঁপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৩ কোটি ৯০ লাখ ৮৬ হাজার ২৫০ টাকা।
ঝড়-শিলবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পেঁয়াজ-রসুন চাষিরা। জেলার ১৭৫ জন কৃষকের ৩২৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর ৯০ জন কৃষকের ২১৬ মেট্রিক টন রসুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
৬১৭ জন কৃষকের ১১৪ মেট্রিক টন মসুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ১ কোটি ১৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, ১ হাজার ১৮ জন কৃষকের ২ হাজার ৩৫ মেট্রিকটন পান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ১৯ কোটি ৩৫ লাখ ৮৩ হাজার ২৫০ টাকা, ৩২৫ জন কৃষকের ১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন তরমুজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
অন্যান্যের মধ্যে ৬১০ জন কৃষকের ১ হাজার ৯৩২ মেট্রিক টন আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৭ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২৫০ জন কৃষকের ৭০০ মেট্রিক টন পেয়ারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ৭৫ জন কৃষকের ২১০ মেট্রিক টন লিচু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৮৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা, ১০৭ জন কৃষকের ৬৮৭ মেট্রিক টন তামাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৪ কোটি ৭ লাখ ৮ হাজার ৮০০ টাকা।
পাশাপাশি ১৫৮ জন কৃষকের ৬৩ মেট্রিক টন ধনেপাতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও ৩০০ জন কৃষকের ১ হাজার ৮০ মেট্রিক টন শীতকালীন শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মূল্য ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এবং ফসলের পরিমান উল্লেখ করে ঢাকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। এই ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় এনে কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
সারাবাংলা/এমও
কৃষক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা ঝড় ঝড়-শিলাবৃষ্টি শিলাবৃষ্টি