Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিম দিল বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা

লোকাল করেসপন্ডেন্ট
৬ মার্চ ২০২২ ১৪:৩৯

বাটাগুর বাসকার ডিম, ছবি: সারাবাংলা

মোংলা (বাগেরহাট): জেলার সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ডিম দিয়েছে প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা। কচ্ছপের ওই ৩৪টি ডিম থেকে আগামী ৬৫ দিনের মধ্যে বাচ্চা বের হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৬ মার্চ) সকালে করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘রোববার সকালে বন্যপ্রাণী কেন্দ্রে কচ্ছপ লালন-পালন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে ৩৪টি ডিম দেয় একটি কচ্ছপ। ডিমগুলো ইনকিউবেশনে (বালুর মধ্যে) রাখা হয়েছে। ৬০ থেকে ৬৫ দিন শেষে এই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবে।’

তিনি আরও জানান, এই প্রজনন কেন্দ্রে ৪৩৬টি কচ্ছপ রয়েছে। ২০১৭ সালে দুটি কচ্ছপের ৬৩টি ডিম থেকে ৫৭টি বাচ্চা হয়। ২০১৮ সালে দুটি কচ্ছপের ৪৬ ডিম থেকে ২১টি বাচ্চা পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চা পাওয়া যায়। ২০২০ সালে ১০ মে একটি কচ্ছপের ৩৫টি ডিম থেকে ৩৪টি বাচ্চা পাওয়া যায়। এসব বাচ্চা থেকে ২০১৭ সালে ২টি, ২০১৮ সালে ৫টি, ২০১৯ সালে ৫টি কচ্ছপ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অবমুক্ত করে বন বিভাগ।

এর আগে, ২০০০ সালের দিকে বন্যপ্রাণী গবেষকরা মনে করেছিলেন পৃথিবীতে আর বাটাগুর বাসকার কোনো অস্তিত্ব নেই। পরে ২০০৮ সালে গবেষকরা প্রকৃতিতে বাটাগুর বাসকা আছে কি না তা খুঁজতে শুরু করেন। খুঁজতে খুঁজতে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে ৮টি বাটাগুর বাসকা পান। এর মধ্যে ৪টি পুরুষ ও ৪টি স্ত্রী। প্রজননের জন্য গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় কচ্ছপগুলোকে। বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা নিবিড়ভাবে লালনপালন ও প্রজননের চেষ্টা করে। তারপরও প্রথমে তেমন সাফল্য পাওয়া যায়নি। তবে কয়েক বছরে গাজিপুরে প্রায় ৯৪টি বাচ্চা দিয়েছিল ৮টি মা কচ্ছপ। সেখানে ভাল সাড়া পাওয়ায় ২০১৪ সালে মূল ৮টি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেওয়া ৯৪টি ছানাসহ করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএস

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র বাটাগুর বাসকা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর