ফেন্সিডিল পাওয়ায় সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল, প্রতিবাদে ধর্মঘট
৬ মার্চ ২০২২ ১৫:৩৮
বেনাপোল (যশোর): বন্ড লাইসেন্সের (শুল্কমুক্ত) মাধ্যমে আমদানি করা ডেনিম ফেব্রিক্সের ট্রাকে লুকিয়ে আনা প্রায় অর্ধকোটি টাকার শাড়ি, থ্রি-পিস, বাংলা মদ, ফেনসিডিল, বিদেশি সিগারেট, ওষুধ, কারেন্ট জালসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ২ মার্চের এ ঘটনার সঙ্গে ভারতীয় ট্রাকচালকরা সরাসরি জড়িত থাকলেও তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই ডেনিম ফেব্রিক্সের আমদানিকারক অনন্ত ডেনিম টেকনোলজি লিমিটেড ও ফ্যাশান ফোরাম লিমিটেড। এ ঘটনায় গত বুধবার বেনাপোলের শিমুল ট্রেডিং এজেন্সি ও আইডিএস গ্রুপ নামে দুটি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করেছে বেনাপোল কাস্টম হাউস। পাশাপাশি সিঅ্যান্ডএফ’র কর্মচারীদের নামেও কাস্টমসের পক্ষ থেকে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করা হয়।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আটক না করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল ও কর্মচারীদের নামে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত ৩ মার্চ সকালে বন্দরটি দিয়ে আমদানি-রফতানিসহ কাস্টমস ও বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি লাইসেন্স পুনর্বহাল, কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানি ও মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি এক যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত না করে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করেছে কাস্টমস। মামলা প্রত্যাহারসহ কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধ না হলে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখায় পণ্য চালান নেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি বন্ড লাইসেন্সের (শুল্কমুক্ত) আমদানি করা চালানের মধ্যে মিথ্যা ঘোষণায় বৈধ চালানের আড়ালে ফেনসিডিল, সিগারেট, ভারতীয় মদসহ বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যসহ বন্দর থেকে ভারতীয় একটি ট্রাক আটক করা হয়। এ অভিযোগে দুটি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করে শোকজ করা হয়েছে। ‘অবৈধ পণ্য আমদানির অভিযোগে থানায় মামলাও করা হয়েছে। আমদানি-রফতানিসহ কার্যক্রম চলমান রাখতে সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠগুলোর সঙ্গে আলোচনা বসতে প্রস্তুত।
সারাবাংলা/এনএস