পুলিশ পরিদর্শককে ধর্ষণ: এসপির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
৭ মার্চ ২০২২ ১৩:৪২
ঢাকা: পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় আগামী ১১ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন তিনি।
সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালত এই আদেশ দেন।
এদিন, পুলিশ সুপার (এসপি) মোকতার হোসেন আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদনও করেন। শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন- পুলিশ পরিদর্শককে ধর্ষণের অভিযোগ এসপির বিরুদ্ধে
মামলাটির তদন্ত শেষে গত ৩০ জানুয়ারি মোক্তারকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন।
গত বছরের ১২ আগস্ট ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আদালত মামলাটির আবেদন করেন পুলিশের এক নারী পরিদর্শক। পরে ট্রাইব্যুনাল রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার ওসিকে এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন। বাদী আগে থেকেই সুদানে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদীর বাসায় গিয়ে তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। সে সময় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন।
আরও পড়ুন- পুলিশ পরিদর্শককে ধর্ষণ: এসপির বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার নির্দেশ
এরপর ২২ ডিসেম্বর ক্ষমা চেয়ে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ‘মৌখিকভাবে বিয়ে’ করে বাদীকে আবারও ধর্ষণ করেন। এরপরও আরও কয়েক দফা বাদীকে ধর্ষণ করেন মোক্তার হোসেন। কিন্তু নিকাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে বাদীকে গ্রহণ করার তাগিদ দিলে মোক্তার হোসেন তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বাদীকে এড়িয়ে যেতে থাকেন।
এর অবস্থায় গত ২১ এপ্রিল বাদী মোক্তার হোসেনের রাজারবাগ বাসায় গিয়ে আশ্বাস অনুযায়ী বিয়ের কাবিননামা সম্পূর্ণ করার তাগিদ দেয়। এতে মোক্তার হোসেন অস্বীকৃতি জানান। তখন মোক্তার হোসেন, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে বাদীকে মারধর করেন এবং হুমকি দেন। করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলেও জানান বাদী।
আসামি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন। বাদী বিষয়টি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করেন। সে অভিযোগটিও চলমান রয়েছে বলেও মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এসএসএ