বিএনপির নেতৃত্ব কোথায়?— প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
৭ মার্চ ২০২২ ১৬:৪৯
ঢাকা: বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির নেতারা একে তো দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত। তার উপর তাদের নেতৃত্ব কোথায়? রিফিউজি হয়ে বিদেশে বসে দেশের মানুষের জন্য ধ্বংসের কাজ করা ছাড়া তাদের আর কিছু করার নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে বিদেশে বসে আয়েশে জীবন কাটাচ্ছে।
সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭ই মার্চের ভাষণ দিবস কে পালন করল আর কে করল না, সেটা নিয়ে বোধহয় আমাদের চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ, এটা ধরেই নিতে হবে যে, এরা সেই গোষ্ঠী যারা এদেশের স্বাধীনতাই চায়নি। এরা সেই গোষ্ঠী যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল আমাকে হত্যা করতে। কিন্তু জীবন গেছে আইভী রহমানসহ অনেক নেতাকর্মীর।’
তিনি বলেন, ‘এরা জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সেই পোড়া মানুষদের কয়েক জনের ছবি আমি সেদিনও পেলাম। তাদের জন্য সাহায্য পাঠিয়ে দিয়েছি। যারা এক একটা মানুষের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে, আন্দোলনের নামে তাজা মানুষ যারা আগুনে পুড়িয়ে মারতে পারে- তাদের কাছ থেকে এদেশের মানুষ কী আশা করবে?’
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগের সুরে বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আর সেটার মাধ্যমে এখন তারা দেশের সর্বনাশ করে যাচ্ছে। এটাই হচ্ছে দুভার্গ্য।’ বাংলাদেশের উন্নয়নে যা করার সরকার করে দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমাদের লক্ষ্য, সেটা মাথায় রাখতে হবে। কি পেলাম না পেলাম সেটা চিন্তা করি না। আমি চিন্তা করি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কতটুকু দিতে পারলাম। যার জন্য আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জীবন দিয়ে গেছেন, আমার মা জীবন দিয়ে গেছেন, আমার ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছেন, লাখো শহিদ জীবন দিয়েছেন- তাদের স্বপ্ন পূরণ করে আমরা দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাব। স্বপ্নটা আমার না, স্বপ্নটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের।’
তিনি আরও বলেন, ‘৭ মার্চের এই ভাষণ এখনো আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। প্রতিটি লাইন অর্থবহ। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয়। বিশ্বে আর কোনো ভাষণ এত বছর এই রকম প্রাণবন্ত থাকেনি, যা মানুষকে উজ্জীবিত করতে পারে। ৭ মার্চে জাতির পিতার ভাষণ সেভাবেই মানুষকে উজ্জীবিত করছে। কাজেই দিবসটা শুধু পালন নয়, এটাকে অনুসরণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
পাঁচ দিনের সফরে দেশের বাইরে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাচ্ছি বাইরে। কারণ, নারী দিবস উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার আমাকে দাওয়াত দিয়েছে। আবুধাবির সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই আমার যাওয়া।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও হুমায়ুন কবির। সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম