Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অল্প সময়ের মধ্যেই ক্ষমতার পরিবর্তন আসবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ মার্চ ২০২২ ২১:০৫

ঢাকা: অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেকের নেতৃত্বে ‘ক্ষমতার পরিবর্তন’ আসবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি- এই জিনিসগুলোকে সামনে নিয়ে জিয়াউর রহমান রাজনীতি শুরু করেছিলেন, বেগম খালেদা জিয়া সেই পতাকা তুলে নিয়েছিলেন এবং এখন সেই পতাকা তারেক রহমানের হাতে। তারেক রহমান একজন ব্যক্তি নন। তিনি হচ্ছেন একটি রাজনীতির প্রতীক, তিনি হচ্ছেন একটি দর্শনের প্রতীক।’

‘আমরা বিশ্বাস করি শুধু নয়, আমরা এখন আস্থাশীল যে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রত্যক্ষ-সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই দেশকে মুক্ত করতে সক্ষম হব’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে যদি সত্যিকার অর্থেই একটা সুখী-সমৃদ্ধ-গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করতে হয় তাহলে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা হচ্ছে জনগণের ঐক্য। সেই ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে অবশ্যই জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে এবং আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আর সময় ক্ষেপণের সময় নেই। আসুন নিজেদের সংগঠিত করি, সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করি, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ করি।’

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানকে তারা (আওয়ামী লীগ) ভয় পায়- এটা বাস্তব। কেন ভয় পায়? তারেক রহমানের অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে। সেই সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যে সারা বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে শুরু করেছেন। যখন তিনি দলের সিনিয়র যুগ্ম সচিবের দায়িত্ব নেন এবং যখন তিনি তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠন গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন তখন থেকে তাদের মনে হয়েছে যে, এই মানুষ যদি দেশে থাকে তাহলে তাদের কোনো অবস্থান থাকবে না। সেই কারণে তারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার, যত মিথ্যা মামলা একটার পর একটা দিয়ে যাচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা (মন্ত্রীরা) উন্নয়নের কথা বলে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা বলে। কিন্তু এত মিথ্যা কথা বলে যে মিথ্যাগুলো সত্যে পরিণত করতে চায়। কয়েকদিন আগে তারা বলেছে যে, এখানে না কি কুঁড়ে ঘর শুধু কাব্যের মধ্যে, দারিদ্র না কি খুঁজে পাওয়া যায় না বাংলাদেশে। অথচ পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের পরিমাণ আরও ২% বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে কাদের? অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের। তারা এত বেশি অর্থশালী হয়েছে, তারা এত বেশি লুট করেছে, তারা এত বেশি অর্থ-সম্পদ বিদেশে পাঠিয়ে ব্যবসা তৈরি করেছে যে, তাদের একেবারে গ্রামের ইউনিটের নেতা থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত এখন দারিদ্র্য দেখতে পায় না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো খুব পরিষ্কার- গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্তি দেওয়ার পরে এই সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে এবং সেই নিরপেক্ষ সরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মধ্য নিয়ে যে নির্বাচন পরিচালনা করবেন সেই নির্বাচনে জনগণের একটি পার্লামেন্ট ও সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।’

‘তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ করা উচিত, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত’- বলেন বিএনপির মহাসচিব।

বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জহিরউদ্দিন স্বপন, শ্যামা ওবায়েদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, সেলিমুজ্জামান সেলিম, ওবায়দুর রহমান চন্দন, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

টপ নিউজ বিএনপি মির্জা ফখরুল


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর