Wednesday 05 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৯ম দিনে গড়ালো রেলওয়ে গেটকিপারদের অনশন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৮ মার্চ ২০২২ ০০:১৪

ঢাকা: বাংলাদেশ রেলওয়ে গেটকিপারদের আমরণ অনশন ৯ম দিনে গড়িয়েছে। এখনো সমস্যার সমাধানে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রেলওয়ের মানোন্নয়ন প্রকল্পের এক হাজার ৮৮৯ জন গেটকিপার তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থায়ী করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।

সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, অনশনে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শতাধিক গেটকিপার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকাতেও সহকর্মীরা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

এরই মধ্যে যারা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন— কুষ্টিয়া সেকশনের তামান্না, সোহাগ, রোমান, কেওয়াটখালী সেকশনের কাউসার, নিজাম, রাব্বি, হোসেন আলী, সিলেট সেকশনের ফাতেমা আক্তার, মনিরুল ইসলাম, কুলাউড়া সেকশনের সাজ্জাদ, টঙ্গির লাকী আক্তার, লিজা, ফেনীর হালিমা খাতুন, ফাতেমা আক্তার, কাওসার, রুবেল, যশোর সেকশনের চামেলি বেগম, সুমাইয়া, শ্রীমঙ্গলের আকুল মন্ডল, কাউছার আহম্মেদ অনিক, জামালপুরের কাকলি বেগম, লালমনিরহাটের হালিমা আক্তার, পলাশ, হাফিজ মিয়া, শায়েস্তাগঞ্জের ফরহাদ।

অসুস্থ এসব গেটকিপারদের যাদের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক, তাদের বারডেম হাসপাতাল, নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও মুগদা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  এছাড়া কুলাপাড়া সেকশনের গেটকিপার ফাতেমা আক্তার সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের অনশনস্থলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা ১০ জন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

অনশনকারীদের অভিযোগ, ২১৬ ঘণ্টা ধরে কমলাপুরের খোলা আকাশের নিচে তারা অনশন করলেও এখন পর্যন্ত রেলপথ মন্ত্রণালয় অথবা বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসেনি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। অনশনের কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা তৈরি হলে তার দায় রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ রেলওয়ের মানোন্নয়ন প্রকল্পে ১ হাজার ৮৮৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫৭২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ৫৫৫ জন রেলপোষ্য ও ৩২৫ জন নারী রয়েছেন।

গেটকিপারদের দাবি, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পে কর্মরত গেটকিপারদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে চাকরি স্থায়ী করতে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয় এখনো এর জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি। রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অনেকবার স্মারকলিপি, চিঠি দিয়ে দুর্দশার কথা জানানো হলেও কোনো ফল আসেনি।

অনশনকারী গেটকিপাররা বলছেন, আমরা রেলপথ মন্ত্রণালয়ে বহুবার স্মারকলিপি দিয়েছি। চিঠি দিয়েছি। আমাদের দুর্দশার কথা জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথায় কর্ণপাত করেনি।

এদিকে, রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, একটি প্রকল্পের আওতায় তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাদের চাকরিতে সমস্যা হয়েছে। এখন তারা এসে আমরণ অনশনে নেমেছেন। এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা ছাড়া কোনো কিছু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

গেটকিপারদের অনশন রেলওয়ে গেটকিপার

বিজ্ঞাপন

ফাঁক-ফোকর গলে বইমেলায় ঢুকছে হকার
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:১০

আরো

সম্পর্কিত খবর