রুপগঞ্জে জমি অধিগ্রহণ: পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
৮ মার্চ ২০২২ ০৩:১১
ঢাকা: জাপানের অর্থায়নে পূর্বাঞ্চলের পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালি মৌজায় র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) জন্য অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, ভূমি সচিব, ঢাকা ম্যাস ট্র্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রকল্প পরিচালক, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রুপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) ১৪ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (৬ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
জাপানের অর্থায়নে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের দু’টি মৌজায় (পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালি) এল এ কেস নম্বর ১০/২০১৯-২০-এর মাধ্যমে ডিপো অ্যাকসেস করিডোর নির্মাণ প্রকল্পে (র্যাপিড ট্রানজিট ডেভোলপমেন্ট প্রজেক্ট লাইন-১) ৯২ দশমিক ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন রয়েছে। চূড়ান্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করার সময় পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালি মৌজায় ১৪২ জনের ক্ষেত্রে প্রকৃত জমির মূল্যের চেয়ে কম অর্থ নির্ধারণ করায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা হাইকোর্টে দু’টি রিট করেন। রিটে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রোববার আদালতের শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে সরকার আইনের বিধান অনুসরণ করেনি। পার্শ্ববর্তী মৌজার চেয়ে অর্ধেক মূল্যে এ দু’টি মৌজার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইনের ৯ ধারায় পার্শ্ববর্তী এলাকায় ও সমশ্রেণির জমি বিবেচনায় নিয়ে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
এরপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন।
রুলে পূর্বাঞ্চলের পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালি মৌজায় র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলেপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) জন্য অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালি এলাকার হালিম মিয়া, রামাধন চন্দ্র, ফারুক মিয়া, হাবিবুর রহমান, হারেছ, আমিনুল ইসলাম ভূইয়াসহ ১৪২ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি এই রিট দায়ের করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর