এশিয়ার ৪০ শতাংশ মানুষের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ার সামর্থ্য নেই

ঢাকা: এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সামর্থ্য নেই। তারা স্বাস্থ্যকর খাদ্যও খাওয়ারও সুযোগ পায় না। পাশাপাশি জলবায়ু সংকটের জন্য আগামীতে প্রাণী ও ফসলের রোগব্যধি বাড়বে এবং এ অঞ্চলে খাদ্য ও কৃষি উৎপাদনে হুমকির মুখে পড়তে পারে।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কৃষি সচিব ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্মেলনে এশিয়া ও প্যাসিফিকভুক্ত ৪৬টি দেশের কৃষি সচিব, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। এফএওর সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করছে।

সম্মেলনে জানানো হয়, করোনা সংক্রমণ পরিস্থতির পূর্বাবস্থা পুনরুদ্ধার, জলবায়ু সংকট, গবাদি পশু এবং ফসলের রোগের বিষয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে এশিয়া প্যাসিফিকের সদস্য দেশগুলোর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বিশ্বব্যাপী মহামারিকালে খাদ্য ও কৃষি খাতে অর্থনীতি এবং জীবিকার ক্ষতি মোকাবিলা এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে চার দিনের এই অধিবেশনের জন্য আহ্বান করেছে।

এফএও বলছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে উন্নত বাস্তুতন্ত্রের প্রতিক্রিয়াও সম্মেলনের আরেকটি মূল বিষয়। বিশ্বের বৃহত্তম এবং ক্ষুধার্ত অঞ্চলে কৃষিখাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরকে সাহায্য করার জন্য উদ্ভাবন, বিজ্ঞান এবং ডিজিটালাইজেশনের প্রয়োগের অগ্রগতি বিবেচনাও এ সম্মেলনের প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে আরেকটি।

সব মিলিয়ে এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনের ৩৬তম অধিবেশনের লক্ষ্য হলো এ অঞ্চলের আরও ভালো উৎপাদন, উন্নত পুষ্টি, একটি ভালো পরিবেশ এবং সবার জন্য একটি ভালো জীবন গড়ে তোলা, যেন কেউ পিছিয়ে না থাকে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনের ৩৬তম আসর এ বছর হচ্ছে ঢাকায়। প্রথমবারের মতো এ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে মঙ্গলবার সকালে। এতে এশিয়া ও প্যাসিফিকভুক্ত ৪৬টি দেশের কৃষিমন্ত্রী, কৃষি সচিব ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। এফএওর সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন কৃষি মন্ত্রণালয় খাদ্য ও কৃষি সংস্থা