Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিড়িতে শুল্ক কমানোর দাবিতে এনবিআরের সামনে মানববন্ধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৮ মার্চ ২০২২ ১৮:১৭

ঢাকা: আসন্ন বাজেটে বিড়ি শিল্পে শুল্ক কমানোর দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে এনবিআর ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করে বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

মানববন্ধ থেকে বাজেটে বিড়িতে বিদ্যমান শুল্ক কমানো, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। সরেজমিনে পরিদর্শন ছাড়া বিড়ি কারখানার লাইসেন্স না দেওয়া, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে নকলবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেন শ্রমিক নেতারা।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি লোকমান হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা।

বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পে সমাজের অসহায়, সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র, শারীরিক বিকলঙ্গ, বিধবাসহ লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি ধ্বংস করা হচ্ছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এ দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এ দেশীয় কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির কাছে সুবিধা পেয়ে বিড়ির ওপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। বিড়ি মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়া সিগারেটে অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশের বিপরীতে বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ। আমরা এই বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার চাই।

সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কিছু আমলা বিড়ির ওপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শুল্ক বাড়াচ্ছেন। শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা শুল্ক ফাঁকি দিতে জাল ব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোলবিহীন নকল বিড়ি তৈরি করে বাজারজাত করছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিড়ি শ্রমিকদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির যোগসাজশে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা সরজমিনে পরিদর্শন ছাড়া অস্তিত্ববিহীন বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান করে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিড়ি শ্রমিকদের নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

এনবিআর বিড়ি শিল্প বিড়ি শ্রমিক

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর