রোববার শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপে বসবে নতুন ইসি
৯ মার্চ ২০২২ ১৩:৫২
ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে করণীয় নির্ধারণে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, নতুন নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপ শুরু হচ্ছে আগামী ১৩ মার্চ রোববার। ওইদিন বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাওঁ নির্বাচন ভবনে দেশের বিশিষ্ট ৩০ জন শিক্ষাবিদদের সঙ্গে প্রথম ধাপের সংলাপে বসছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। পরবর্তীতে প্রত্যেক রোববার একটি করে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
সংলাপ প্রসঙ্গে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন আগামী ১৩ মার্চ রোববার থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক ৩০ জন শিক্ষককের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে। প্রথমধাপের সংলাপে ৩০ জন শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, যারা সবাই আমার আপনার কাছে পরিচিত মুখ।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি প্রথম দিনের সংলাপে ৩০ জনের সবাই অংশ নিবেন। সংলাপে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে আগামী নির্বাচনগুলো কিভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা যায় এ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মতামত আমরা শুনবো।
ইসির অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, আগামী রোববার থেকে প্রত্যেক সপ্তাহের একদিন আমরা সংলাপে বসার চেষ্টা করব, সেটা হতে পারে রোববার। দ্বিতীয় সংলাপে সমাজের সুশীল সমাজের ৩০ থেকে ৪০ জনের সঙ্গে বসবে কমিশন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়ে ইসি সচিবালয় চিঠি পাঠানো শুরু করেছে। পরবর্তীতে বুদ্ধিজীবী, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক সঙ্গেও সংলাপে বসার পরিকল্পনা রয়েছেন কমিশনের। তবে সব কিছু এখনো চুড়ান্ত হয়নি।
ইসি সূত্র জানায়, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত কমিশনের আনুষ্ঠানিক কোনো সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে নির্বাচন কমিশনাররা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সিমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধির সঙ্গে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইসি সূত্র জানায়, প্রথম ধাপের সংলাপে যে ৩০ জন শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের মধ্যে মধ্যে অন্যতম হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক আবুল কাসেম মজুমদার. ড. সাদেকা হালিম, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ, অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে ২০১৭ সালে কেএম নুরুল হুদা কমিশনও দায়িত্ব নেওয়ার পর সমাজের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে ওই সংলাপ শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে নুরুল হুদা কমিশন ৪০টি রাজনৈতিক দল, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসিসহ চার কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এবং আনিছুর রহমান। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইসির বাকি চার সদস্য শপথ নেন। পরদিন ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশন ইসিতে যোগদান করেন।
সারাবাংলা/জিএস।