‘বৈষম্য নিরসনে আইনের সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন প্রয়োজন’
৯ মার্চ ২০২২ ২২:৫৮
ঢাকা: লৈঙ্গিক বৈষম্য নিরসনে আইনের পাশাপাশি নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বা মানসিকতাও পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (৯ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে নারী দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক ন্যাশনাল ইনকয়ারি খসড়া প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, যত কথাই বলা হোক না কেন, ‘যত আইনই করা হোক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূর না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে এই বৈষম্য রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জেন্ডার বা লিঙ্গভিত্তিক অসমতাকে সমতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ফলে আস্তে আস্তে বৈষম্য দূর হচ্ছে এবং এখন সম্পদের সমান বণ্টনের দাবি উঠছে।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম ধর্মই প্রথম নারীর অধিকার স্বীকার করেছিল। তাই বৈষম্য দূরীকরণে ইসলাম ধর্ম বা অন্য কোন ধর্ম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বৈষম্য নিরসনে নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য সচেতনতা প্রয়োজন। এ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গ্রামে যেতে হবে। কারণ গ্রামে প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ বসবাস করে এবং সেখানেই বৈষম্য বেশি হয়, প্রকট নারী নির্যাতন হয়। বাংলাদেশে প্রচলিত আইন প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে পারলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, কমিশনের সদস্য কামাল উদ্দিন আহমেদ ও জেসমিন আরা বেগমসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একেএম