ওয়াল্ট ডিজনির মৃত্যুবার্ষিকী আজ
১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৩:০২
শামিম রেজা, নিউজরুম এডিটর
ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ইলাস্ট্রেটর হিসাবে চাকরি পান। সৃষ্টি করেছেন বিখ্যাত চরিত্র মিকিমাউস। ছিলেন মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক, কাহিনীকার, নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী ও অ্যানিমেটর। একাধিক বিশেষণ আছে তার নামের সাথে।
বলছি ওয়াল্টার এলিয়াস ডিজনির কথা, যিনি ‘ওয়াল্ট ডিজনি’ নামে সুপরিচিত । ১৫ ডিসেম্বর এই বিখ্যাত ব্যক্তির ৫১তম মৃত্যবার্ষিকী। ১৯৬৬ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ওয়াল্ট ডিজনিকে পৃথিবীর প্রথম অ্যানিমেশন প্রোগ্রামার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কাল্পনিক জগতে রং ছড়ানো এবং সেটাকে বাস্তবের মতো করে চলচ্চিত্রের পর্দায় উপস্থাপনের পথিকৃতও বলা হয় তাকে।
১৯০১ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে জন্মগ্রহণ করেন ওয়াল্ট ডিজনি। কাঠমিস্ত্রি পিতার চতুর্থ সন্তান ছিলেন ওয়াল্ট।
ওয়াল্ট তার শিক্ষা জীবন শেষ করেন ফাইন আর্টসে। এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রেড ক্রসের হয়ে ফ্রান্স ও জার্মানি পাড়ি জমান।
যুদ্ধ শেষে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৯১৯ সালে দেশে ফিরে আসেন ওয়াল্ট। দেশে ফিরে কাজ নেন বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে। কিছু দিন সেখানে কাজ করার পর নিজেই খুলে বসেন একটি বিজ্ঞাপনী ফার্ম। নাম দেন ‘লাফ-ও-গ্রাম ফিল্মস’। তবে কিছুদিন পরেই বন্ধ হয়ে যায় সে প্রতিষ্ঠান। ভাঙা মন নিয়ে ফিরে আসেন নিজের শহর শিকাগোতে।
যিনি কাজ ভালবাসেন তার জন্য কোনো বাধাই বাধা নয়। নিজের শহরে তিনি কার্টুন সিরিজ তৈরিতে মনোযোগ দেন। ভালোই চলছিল তার কার্টুন সিরিজ। তবে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান তার সঙ্গে প্রতারণা করে কার্টুন সিরিজটির স্বত্ব কব্জা করে নেয়।
মানুষের ভিতরে থাকা কলুষতা তাকে কষ্ট দিতে থাকে। ভুগতে থাকে হতাশা আর মনোবেদনায়। আর এ মনোবেদনা নিয়ে আঁকতে বসেন নতুন এক কার্টুন চিত্র। যা পরে বিশ্বব্যাপী এক নামে পরিচিত হয় ‘মিকিমাউস’ নামে।
ব্যথিত হৃদয় থেকে সৃষ্টি মিকিমাউস স্থান করে নেয় বাকি পৃথিবীর মানুষের হৃদয়ে, সেই সঙ্গে এর স্রষ্টা ডিজনিও। বর্তমান বিশ্বে, তার হাতে তৈরি প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর তৈরি করে চলেছে সেরা অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রগুলো।
সারাবাংলা/এসআর/এমআই/আইজেকে