‘দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে বিএনপি নেতারা আহম্মকের মতো কথা বলছেন’
১০ মার্চ ২০২২ ১৯:১০
ঢাকা: বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে বিএনপি উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে উসকানি দিচ্ছে। করোনা ও যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্বে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে জেনেও বিএনপি নেতারা আহম্মকের মতো কথা বলছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে জাপান দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করতে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং ইউরোপে যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। ইউরোপে গত ১৩ বছরের মধ্যে খাদ্যপণ্যের দাম বর্তমানে সর্বোচ্চ। আমেরিকা অনেক দূরে হলেও সেখানে এবং ভারত, পাকিস্তানেও দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। কিন্তু ইউরোপের তুলনায় বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য সেভাবে বাড়েনি। কিছু আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বেড়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এগুলো জানেন। জেনেও তারা অন্ধের মতো, আহম্মকের মতো কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যখন সুযোগ পায়, তখন দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর পাঁয়তারা করে। সরকার সেটার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং করবে। একইসঙ্গে টিসিবি’র আওতা বাড়িয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ যেন কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারে, সে ব্যবস্থাও সরকার করেছে।
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা তাদের ঘরানার ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য উৎসাহ-পরামর্শ দিচ্ছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, তারা দলগতভাবে এই কাজ নিয়েছেন। সমুদ্রের ওপার থেকেও কিছু কিছু ব্যবসায়ীকে বাতাস দেওয়া হচ্ছে, যেন পণ্য মজুত করে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। সরকার সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এর আগে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনী সভায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে উঠে আসা জাপানকে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দ্রুত উন্নয়নের এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে দেখতেন। তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশ যেন জাপানের মতো অল্প সময়ে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় তার অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে পারেনি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির পিতার সেসব অসম্পূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আনন্দের বিষয়— জাপান বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে আমাদের সঙ্গে রয়েছে। অনাগত ভবিষ্যতেও জাপান আমাদের পাশে থাকবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি সবাইকে বাংলায় সম্বোধন করে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের ঐতিহাসিক সম্পর্ক দিন দিন আরও বন্ধুত্বপূর্ণ হচ্ছে। উন্মোচিত হচ্ছে সহযোগিতার নতুন নতুন দিগন্ত।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্টি মফিদুল হক সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন। এসময় বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকে একটি স্মৃতি স্মারক প্রদান করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। পরে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন মন্ত্রী।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর
জাপান দূতাবাস তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি