Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে এলেও বেড়েছে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১০ মার্চ ২০২২ ২০:০৯

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে এক সময় সংক্রামক ব্যাধি মহামারি আকার ধারণ করেছিল। এখন আর সেই অবস্থা নেই। কলেরাসহ সংক্রামক ব্যাধি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে এ সময়টাতে অসংক্রামক ব্যাধি অনেক বেড়ে গেছে। প্রায় ৭৭ শতাংশ মানুষ এতে মারা যায়।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে প্রতিদিন কিডনি ফেইলিওর হয়ে ৭০ থেকে ৮০ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন। কিডনি ফেইলিওরের অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। এছাড়া আরও অনেক কারণে হয়। প্রতিবছর ফেইলিউরের ঘটনা ৩০-৪০ হাজার। মারা যাচ্ছে ২৫-৩০ হাজার মানুষ। এমন অবস্থায় এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আনুষঙ্গিক রোগগুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ডোনার সংকটের কারণে এখনও মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না। মরণোত্তর কিডনি দানে সচেতন না মানুষ। এই বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। অনেকেই মরণোত্তর কিডনি দানে প্রতিশ্রুতি থাকেলেও স্বজনদের আবেগের কারণে মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনে ১৯৯৯ সালে দেশে একটি আইন প্রণয়ন হয়। ২০১৮ সালে সংশোধনী আনা হয়। এর মাধ্যমে অঙ্গদানের সুযোগের পরিধি বাড়লেও মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।

জাহিদ মালেক বলেন, কিডনি বিকল হওয়ার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ জানে তারা কিডনি রোগে ভুগছেন। বিশ্বমানের চিকিৎসা এখন বাংলাদেশ হচ্ছে। হাসপাতালে জনবল এবং কিছু সংকট রয়েছে। আপনারা কাজ করেন। অবশ্যই জনবল এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, জাতীয় কিডনি হাসপাতালের কিডনি রোগীদের পূর্ণাঙ্গ সেবা নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ সময় কিডনি ডিজিজ হাসপাতালে ট্রান্সপ্লান্ট চালু করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবিএম খুরশিদ আলম।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এ দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ। আমরা যেভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি, সেটি বিশ্বের জন্য অনুকরণীয়। আমরা টিকা কার্যক্রমেও সারা বিশ্বে নজির স্থাপন করেছি।

তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি চাইলে যেকোনো প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারেন। জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক হাসপাতালটির পরিবর্তনে কাজ করছেন। এই হাসপাতালের যেকোনো সহযোগিতায় আমার কাছে কেউ আসলে আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।

কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিডনি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ অন্যান্যরা।

সারাবাংলা/এসবি/আইই

অসংক্রামক ব্যাধি কিডনি জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল জাহিদ মালেক সংক্রামক ব্যাধি স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর