Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, কাজ পাবে ১ কোটি লোক


১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ১০:০১

এমদাদুল হক তুহিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বেসরকারিভাবে অনুমোদন প্রাপ্ত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের উৎপাদিত টিস্যু পেপার ভারত, ভুটান ও নেপালে রফতানি হচ্ছে। শুধু টিস্যু পেপারই নয়, একই সঙ্গে রফতানি হচ্ছে পাল্প অ্যান্ড পেপার ও পানি পরিশোধন যন্ত্রও। আর অত্যাধুনিক রোবট উৎপাদনের কাজ এগিয়ে চলছে মেঘনা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চলে। আমান অর্থনৈতিক অঞ্চলের উৎপাদিত সিমেন্টও যাবে বিশ্বের কয়েকটি দেশে। পুরোদমে এগিয়ে চলছে আবদুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজও। সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার সরকারের যে লক্ষ্য রয়েছে, তারমধ্যে ৪টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন কাজ শুরু হয়েছে। সবগুলো অঞ্চল চালু হলে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।

বিজ্ঞাপন

বেজা সূত্র বলছে, একই সময়ে এগিয়ে চলছে সরকারি-বেসরকারি এবং তিনটি বিশেষ দেশের জন্য আলাদাভাবে গড়ে তোলা অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজও। বর্তমানে সব মিলিয়ে ১২টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলমান রয়েছে।

সারাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার এই লক্ষ্যকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন গবেষক ও অর্থনীতিবিদরা। গড়ে উঠা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর কাজ পুরো শেষ হলে এবং প্রতিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন কাজ শুরু হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিরাট উল্লম্ফন ঘটবে বলে মনে করেন অনেকেই। তাদের মতে, অর্থনৈতিক অঞ্চল শুধু বেকারত্ব হ্রাসই করবে না, রক্ষা করবে দেশের পরিবেশকেও। শিল্প নির্ভর অর্থনীতি গড়ে উঠায় পাল্টে যাবে চিরচেনা দৃশ্যপটও। আর ব্যবসায়ী সংগঠন ও চেম্বারের নেতারা মনে করেন, নতুন শিল্পকারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিরাট ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ইউটিলিটি সেবা পাওয়ায় শিল্প গড়ে উঠার ক্ষেত্রে কমবে খরচ। পূর্বের মত অপরিকল্পিত শিল্প গড়ে না তোলে নির্দিষ্ট স্থানেই শিল্প গড়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী সারাবাংলা ডটনেটকে বলেন, ‘সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার যে লক্ষ্য রয়েছে সামগ্রিকভাবে তার অগ্রগতি খুবই ভালো। ইতোমধ্যে কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন কাজ শুরু হয়েছে। তবে বড় অঞ্চলগুলো প্রস্তুত করতে সময় লাগে।’

বেজার নির্বাহী সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. হারুনুর রশিদ সারাবাংলা ডটনেটকে বলেন, ‘সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের মাধ্যমে ১কোটি লোকের কর্মসংস্থান ও অঞ্চলগুলো থেকে আগামী ১৫ বছরে ৪ হাজার কোটি ডলার রফাতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে। এরমধ্যে ৭৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান চূড়ান্ত হয়েছে। আর সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে বর্তমানে ১২টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলমান রয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে তা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। সম্ভব হবে পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত শিল্পায়নের।’

বিজ্ঞাপন

বেজা সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে ৭৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি বেসরকারি। বাকিগুলো সরকারি ও বিদেশী বিনোয়োগে নির্মিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর বেসরকারি ২৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ৫টি চূড়ান্ত লাইসেন্স পেয়েছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে ৪টিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। উৎপাদনে যাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে দুটি মেঘনা গ্রুপের, একটি আমানের ও অন্যটি বে-এর।

বেজার এক কর্মকর্তার তথ্যমতে, মেঘনা গ্রুপের অর্থনৈতিক অঞ্চলে টিস্যু পেপার তৈরি হচ্ছে, যা ভারত, ভুটান ও নেপালে রফতানি হচ্ছে। মেঘনা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চলে অত্যাধুনিক রোবট তৈরি হচ্ছে, যা শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি রোবট বাজারজাত শুরু করেনি বলে জানা গেছে।  জানতে চাইলে মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (হিসাব বিভাগ) সুমন চন্দ্র ভৌমিক সারাবাংলা ডটনেটকে বলেন, মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের উৎপাদিত টিস্যু পেপার, পাল্প অ্যান্ড পেপার ও পানি পরিশোধন যন্ত্র বিশ্বের কয়েকটি দেশে রফতানি হচ্ছে। এই কর্মকর্তার তথ্যমতে, বিশেষ ওই অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে আরও বেশ কয়েকটি পণ্য উৎপাদনের পাইপ লাইনে রয়েছে।

বেজা সূত্রে জানা গেছে, আমান অর্থনৈতিক অঞ্চলেও উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের বাইরেও কিছু সিমেন্ট রফতানি করবে বলে লক্ষ্য রয়েছে। তবে চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়া আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল এখনও উৎপাদনে যায়নি। বিশেষ ওই অঞ্চলটিতে হোন্ডা উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আর বেসরকারি বাকি ১৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের যাছাই-বাছাই চলছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বেজার শর্ত পূরণের চেষ্টা করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, ‘বেসরকারিভাবে গড়ে তোলা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অগ্রগতি খুবই ভালো। তবে নীতি সহায়তা ও নানা প্রতিবন্ধকতায় সরকারিগুলোর অগ্রগতি খুবই কম।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী সারাবাংলা ডটনেটকে বলেন, ‘সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে অগ্রগতি নেই এ তথ্যটি সঠিক নয়। মিরসরাইয়ে চলতি অর্থবছরেই ৩ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলও শতভাগ প্রস্তুত।’

তবে বেসরকারিভাবে গড়ে উঠা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে না উঠে কেবল আগে থেকে বিদ্যমান শিল্পপ্রতিষ্ঠানই স্থানান্তরিত হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। সারাবাংলা ডটনেটকে তিনি বলেন, ‘বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যে ধরণের উৎপাদন শুরু হয়েছে, যারা অঞ্চলগুলো তৈরি করেছেন; তাদেরই পণ্য উৎপাদনের কারখানা ওই অঞ্চলগুলোতে স্থানান্তরিত হয়েছে। দৃশ্যমান পরিবর্তন আনার মত ক্ষমতা রাখে সেই অঞ্চলগুলোতে এখনও খুব বেশি অগ্রগতি নেই।’

দীর্ঘমেয়াদে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেশের অর্থনীতিতে কি ধরণের প্রভাব ফেলবে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়া কোন উপায় নেই। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ধারণাটি খুবই সময় উপযোগী। বড় আকারের অঞ্চলগুলোর নির্মাণকাজ যত দ্রুত শেষ করা যাবে বিনোয়োগ ততবেশিই আকর্ষিত হবে।’

বেজা সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাই ও ফেনীতে কমপক্ষে ৩০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে। তবে প্রত্যেক জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বেজার এক কর্মকর্তা। তারমতে, ভৌগোলিক ও পরিবেশগত কারণে সব অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার মত বিনিয়োগকারী খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, আঞ্চলিক বৈষম্য কমাতে প্রতিটি অঞ্চল বা জেলাকেই প্রধান্য দেয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে ৬০ জেলায় ৬০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা যেতে পারে বলে মনে করেন কেউ কেউ।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম সারাবাংলা ডট নেটকে বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঢাকা-চট্টগ্রাম বেল্ট অথবা দক্ষিণাঞ্চল বেল্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে উত্তরাঞ্চল বা অন্যান্য এবং ভারতের সঙ্গে সম্পৃক্ত যেসব সীমান্ত অঞ্চলগুলো রয়েছে; সেই অঞ্চলগুলোকেও প্রাধান্য দিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার চিন্তা ভাবনা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকে উদ্বুদ্ধ করা ও শিল্পায়নের স্বার্থে যেখানে জমির স্বল্পতা দেখা দিয়েছে সেখানে সরকারের উদ্যোগে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা অবশ্যই ইতিবাচক। বাংলাদেশ যেভাবে তার শিল্পায়নকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে এবং নতুন নতুন শিল্পাঞ্চল গড়ার মাধ্যমে দেশী এবং বিদেশী উদ্যোগকে আকৃষ্ট করার মাধ্যমে শিল্পখাতের পরিবর্তন করতে চাচ্ছে এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যাবার যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়াই এ ধরণের অর্থনৈতিক অঞ্চল বড় ধরণের ভূমিকা রাখবে।’

তবে অর্থনৈতিক অঞ্চলে সবাইকে গণহারে জমি বরাদ্দ না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে বড় উদ্যোক্তারা জমি কিনে রেখে দেন, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোগে যান না। এর ফলে যারা সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোগ নেয়ার মত রয়েছে তারা জমি নিতে পারেন না। ফলে ওই জমিগুলোর ব্যবহার প্রকারন্তে অনেক সময় পিছিয়ে যায়। বিসিকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে কমদামে জমি নিয়ে অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করেনি।’

এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফোলো ড. নাজনীন আহমেদ সারাবাংলা ডটনেটকে বলেন, ‘অতীতে শিল্পায়নের যে অভিজ্ঞতা আছে তাতে দেখা গেছে, অর্থনৈতিক অঞ্চলের উৎপাদন খুবই ভালো। যেমন ইপিজেডের শিল্পায়ন অনেক ভালো, যদিও তা শতভাগ রফতানি নির্ভর। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে রফতানি নির্ভর পণ্য ছাড়াও দেশের চাহিদা মেটাবে এমন পণ্যও উৎপাদিত হবে। ফলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল শিল্পায়নের জন্য খুবই চমকপ্রদ ধারণা। অর্থাৎ শিল্পায়নকে গতিশীল করতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিরাট ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। কিছু কিছু অঞ্চলে উৎপাদনও শুরু হয়েছে। তবে সব অঞ্চলের সব কাজ শেষ হয়েছে এমনটি নয়। আমরা যে নিন্ম মধ্য আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে যেতে চাই, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকীর যে মূল লক্ষ্য রয়েছে, যে অর্থনৈতিক জোনগুলো গড়ে উঠেছে এবং আগামীতে গড়ে উঠবে; তা দেশের অর্থনীতিতে বিরাট চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে যে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে উঠছে, এসব অঞ্চলের কাজ যত দ্রুত শেষ হবে আমরা আমাদের অর্থনৈতিক চাকা তত দ্রুতই ঘুরাতে সক্ষম হব।’

এদিকে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন সারাবাংলা ডটনেটকে বলেন, ‘দেশে খুব বেশি ইপিজেড নেই। বৃহৎ আকারে পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল এখনও গড়ে উঠেনি। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে একই সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ইউটিলিটি সুবিধা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ শিল্প ও ব্যবসার জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্যোগ খুবই সময়োপযোগী ও ইতিবাচক।’

শিল্পায়নে অর্থনৈতিক অঞ্চল বিরাট ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ বলেন, ‘এখন আমরা যারা শিল্প করছি, তারা দেশের বিভিন্ন যায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে শিল্প করেছি। এতে কখনও সখনও গ্যাস পাই না, বিদ্যুৎ পাই না; অথবা অবকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা পাই না। কিন্তু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পকারখানা গড়ে তোলা খুবই সহজ হবে।’

আর ব্যবসায়ীদের অঞ্চল ভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারর্স অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সারাবাংলা ডটনেটকে বলেন, ‘ছড়িয়ে ছিটিয়ে শিল্পকারখানা গড়ে উঠলে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ইউটিলিটি সেবা দিতে গিয়ে সরকারকে হিমশিম খেতে হয়। এতে খরচ অনেক বেড়ে যায়। শুরুর দিকে আমরা অপরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা গড়ে তুলেছিলাম, এখন আমরা মনে করি অঞ্চলভিত্তিক শিল্পকারখান হওয়া উচিৎ। শুধু গার্মেন্টস নয়, প্রতিটি খাতেরই নির্দিষ্ট অঞ্চলে ওই শিল্পটি গড়ে তোলা উচিৎ।’

সারাবাংলা/এএইচটি/জেএ/এসআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২ দিনে আয় ২৮৯ কোটি টাকা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৩২

মৌসুমী হামিদের সংসার যেমন চলছে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:২৬

সম্পর্কিত খবর