তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি ট্রেড ইউনিয়নের
১২ মার্চ ২০২২ ১৪:৫১
ঢাকা: জীবন বাঁচাতে সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো, সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারী ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য রেশনিং চালু ও ১৫ রোজার মধ্যে শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন নামের এক সংগঠন।
শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই দাবি তুলে ধরা হয়।
সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি মাহবুব আলম, দফতর সম্পাদক সাহিদা পারভীন শিখা, অর্থ সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, প্রচার সম্পাদক মোবারক হোসেন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, হকার্স নেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, নির্মাণ শ্রমিক নেতা আলী হোসেন, ট্যানারি শ্রমিক নেতা আক্তার হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা জয়নাল আবেদিনসহ আরও অনেকেই।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চাল, ডাল, তেল, আটা, চিনি, পিঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। এতে নিম্নআয়ের মানুষের জীবন রীতিমতো দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কয়েকমাস আগে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করে সকল ধরনের পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের ভুলনীতির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। সরকার জনগণের স্বার্থ না দেখে ব্যবসায়ী ও লুটেরাদের স্বার্থ দেখছে। মুক্ত বাজারের নামে লুটপাটের বাজার চলছে। বিশেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মজুতদারি কিছু লোক জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে নিজেরা হাজার হাজার কোটি টাকার মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে।
বক্তরা আরও বলেন, গত এক সপ্তাহে কারসাজি করে ভোজ্য তেলের দাম বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত মূল্যবৃদ্ধির ফলে একদিকে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে দৈন্যদশার মধ্যে পতিত হচ্ছে, অন্যদিকে কিছু সংখ্যক মুনাফাখোর মানুষ রাতারাতি বিপুল সম্পদের মালিক হচ্ছে। খেটে খাওয়া এসব মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তার আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি রাখতে পারছে না। শুধু নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত সবার জীবনেই নেমে এসেছে চরম হতাশা।
এ সময় নেতারা সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য সারাদেশে ওয়ার্ড পর্যায়ে ডিলার নিয়োগ দিয়ে রেশনিং চালু, পর্যাপ্ত ন্যায্য মূল্যের দোকান, টিসিবি’র বিক্রি বাড়ানো, কঠোর হস্তে সিন্ডিকেট দমনের দাবি জানান।
সারাবাংলা/এআই/এনএস