হামলার দোষ আমাদের নয়: মোস্তফা মন্টু
১২ মার্চ ২০২২ ১৮:০৭
ঢাকা: জাতীয় প্রেস ক্লাবে মোকাব্বির খান নেতৃত্বাধীন গণফোরামের কাউন্সিলে হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে গণফোরাম একাংশের সভাপতি সাবেক এমপি মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার দলীয় কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। তাদের মধ্যে কে হবেন সাধারণ সম্পাদক, মোকাব্বির খান না শফিক উল্লাহ— এ নিয়ে নিজেরাই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য বিষয়টি আমাদের ওপরে চাপিয়েছে। আমরা চাই ঐক্যবদ্ধ গণফোরাম। দ্বিধা-বিভক্তির হাত থেকে গণফোরাম কে রক্ষা করে দেশ ও জাতির দুঃখ-দর্দশা থেকে মুক্ত করতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়তে হবে।’
শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলের ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহসিন মন্টু এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন দলটির নির্বাহী সম্পাদক অধ্যাপক আবু সাঈদ, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিদ প্রমুখ।
মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে মোকাব্বির খানের সম্মেলন ছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আমাদেরও মানববন্ধন কর্মসূচি ছিল প্রেস ক্লাবের সামনে। তবে এই কর্মসূচিতে আমি উপস্থিত ছিলাম না। আমি ছিলাম কেরানীগঞ্জ একটি স্কুলের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে। আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে জেনেছি মানববন্ধন চলাকালে প্রেস ক্লাব থেকে কতিপয় ছেলে দৌড়ে আমাদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসে তাদের রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করে। এ সময় প্রেস ক্লাবের ভেতর থেকে আরও কিছু কর্মী এসে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে আমাদের সিনিয়র নেতারা অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, জগলুল আফ্রিদ অ্যাডভোকেট হেলাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এটিই ছিল মূল ঘটনা এই ঘটনাকে রংতুলি লাগিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।’
মন্টু বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় গণফোরাম ড. কামাল হোসেনের নাম ব্যবহার করে কিছু স্বার্থন্বেষী ও বিভেদকামী কীভাবে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের তিন মাসের মাথায় ১২ই মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অবৈধ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাউন্সিল করে? এটি প্রশ্ন। এই কাউন্সিলে সমবেত কর্মীরা নিজেদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। ড. কামাল হোসেন সাহেব ওই সম্মেলনে উপস্থিত হননি। এমনকি তিনি ভার্চুয়াল বৈঠকেও যেতে রাজি হননি।’
গণফোরামের দীর্ঘদিন দিয়ে থাকা এই দ্বন্দ্বের নাটের গুরু কে? জবাবে মহসিন মন্টু বলেন, ‘ড. কামাল সাহেব আমাদেরকে চিঠি দিয়ে সম্মতি জানিয়েছেন, আবার মোকাব্বির সাহেবদেরও সম্মতি জানিয়েছেন। ড. কামাল হোসেন নিজেই নাটের গুরু কিনা আমরা তা বলতে চাই না। তবে নাটেরগুরু মোকাব্বির খান এমপি তা নিশ্চিত।’
আপনাদের দলের রেজিস্ট্রেশন নেই নির্বাচন কমিশন আপনাদের কমিটিকে বৈধতা দেননি এখন কী করবেন? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আদালতে রিট করা হয়েছে। বিষয়টি আদালত ফয়সালা করবে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে