অন্তঃসত্ত্বাকে পেটানোর অভিযোগে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
১২ মার্চ ২০২২ ২১:৪৩
নেত্রকোনা: মদন উপজেলায় সুমি আক্তার বকুল (৩০) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে বিজিবি সদস্য ওয়াসিম মিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার (১২ মার্চ) তাদের বিরুদ্ধে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুমির ভাই আমিন খান।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাতে উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওয়াসিম মিয়া একই উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের কাতলা গ্রামের তাহের বেপারীর ছেলে এবং বান্দরবান জেলায় (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বিজিবিতে কর্মরত।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওয়াসিম মিয়া দৌলতপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফারুক খানের মেয়ের জামাই। সরকারী চাকরির ছুটি পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাতে প্রতিবেশী মনু খানের মেয়ে সুমির সঙ্গে তর্ক-বির্তক হয় ওয়াসিম ও তার শ্যালক তারিন মিয়ার।
এক পর্যায়ে ওয়াসিম মিয়াসহ কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে অন্তঃসত্ত্বা সুমি আক্তারকে মারপিট করে। এতে সুমি আক্তার আহত হলে স্থানীয় লোকজন রাতেই তাকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সুমির ভাই আমিন খান শনিবার মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত সুমি আক্তার বকুল জানান, ওয়াসিম প্রায় সময়েই আমাদের হুমকি দিত। এবার ছুটি পেয়ে বেড়াতে এসে পূর্বের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সে গালমন্দ শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাকে মারপিট করে। আমি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মারপিট করার পর থেকেই পেটে ব্যথা অনুভব করছি। আমি এর বিচার দাবি করছি।
এদিকে অভিযুক্ত ওয়াসিম মিয়া মুঠোফোনে বলেন, আমি ছুটি পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছি। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের নিজেদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমি জড়িত না। তারা আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর জানান, মারপিটে আহত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সুমি আক্তার বকুল নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এসএসএ