Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সমাজে নারীর সুরক্ষা ও সমতার দাবি ডব্লিউআরসি’র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ মার্চ ২০২২ ১৪:৪৭

ঢাকা: সমাজে নারীর সুরক্ষা ও সমতার দাবি জানিয়েছে নারী কমিটি, ওয়ার্কার্স রিসোর্স সেন্টার (ডব্লিউআরসি)। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘টেকসই আগামীর জন্য আজকে লিঙ্গ সমতা’ শ্লোগানকে সামনে রেখে নারী কমিটি, ডব্লিউআরসি এক আলোচনা সভার আয়োজন করে এই দাবি জানায়।

রোববার ( ১৩ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী কমিটি ডব্লিউআরসি’র সভাপতি শেহেলি আফরোজ লাভলি এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমপি সামসুন্নাহার ভুইয়া, সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নারী কমিটি ডব্লিউআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান ফাহমিনা কাশেম মিশু।

সভাপতির বক্তব্যে শেহেলি আফরোজ লাভলি বলেন, সারা বিশ্বেই হাজারো অসঙ্গতির মধ্যেও পুরুষের পাশাপাশি সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখে চলেছেন নারীরা। বিগত বছরে করোনার মতো মহামারি মোকাবিলায়ও বিশেষ অবদান রেখেছে নারী নেতৃত্ব। যে দেশের নেতৃত্ব যতো জোরাল ছিল সেই দেশ ততো সহজে মহামারি মোকাবিলা করতে পেরেছে। এক্ষেত্রে সারা বিশ্বেই এগিয়ে রয়েছে নারী নেতৃত্বাধীন দেশগুলো।

তিনি বলেন, মানুষ হিসাবে একজন নারী সামাজিক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন ধারায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব জায়গায় নারী সমাজ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। বৈষম্যমূলক সমাজ ব্যবস্থা ও পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা এর জন্য দায়ী। ফলাফলে নারীর উপর পাশবিক সহিংসতা বেড়েছে।

সুফিয়া কামাল, বেগম রোকেয়ার অবদান নারীদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সামসুন্নাহার ভুইয়া বলেন, নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর অবদানের পাশাপাশি পুরুষদের অবদানও রয়েছে। যেসব পুরুষ নারীদের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। অন্ধকার সময় থেকে আলোতে আসার জন্য নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও অবশ্যই অবদান রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সভায় অন্যান্য আলোচকরাও নারীর উন্নয়ন, অবদান, সুরক্ষা ও সমতার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

সভায় নারী কমিটি, ডব্লিউআরসির পক্ষ থেকে নারীর উন্নয়নে ও সমতায় বিভিন্ন দাবি পেশ করা হয়। সেগুলো হলো—

১. নারীর জন্য নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ( আইএলও) সনদ ১৯০ ও ১৮৯ অনুস্বাক্ষর করতে হবে।

২. কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করে সুনির্দিষ্ট ধারা যুক্ত করতে হবে।

৩. নারীর প্রতি অসম্মানজনক আচরণ ও যৌন হয়রানি বন্ধসহ অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

৪. সকল প্রতিষ্ঠানে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং শিশুদের জন্য সুষম খাদ্য ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. শ্রম আইনের ৩৩২ ধারায় নারীর প্রতি অশ্লীল ও অভদ্রজনিত আচরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা জেন্ডার সংবেদনশীল নয়। ধারাটি নারীর প্রতি কর্মক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের হয়রানি ও সহিংসতাকে সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরে না। এই ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ ও জরিমানা বাড়াতে হবে।

৬. সকল ক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানির বিষয়টি শূন্য সহিষ্ণুতা দেখানো এবং এ লক্ষ্যে যৌন হয়রানি বিরোধী কমিটি গঠন করতে হবে।

৭. ট্রেড ইউনিয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং তাদের দায়িত্বশীল নেতৃত্ব দিতে হবে।

সারাবাংলা/এসএসএ

ডব্লিউআরসি নারী কমিটি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দশম গ্রেড দাবি করায় ৬৪ অডিটরকে বদলি
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৫

সম্পর্কিত খবর