ইসির প্রথম সংলাপ: আমন্ত্রিত ৩০ শিক্ষাবিদের মধ্যে উপস্থিত ১৩
১৩ মার্চ ২০২২ ১৫:৪৬
ঢাকা: সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য করণীয় ঠিক করতে ৩০ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন। রোববার (১৩ মার্চ) বিকেল তিনটা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া প্রথমধাপের এই সংলাপে আমন্ত্রিতদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন মাত্র ১৩ জন।
উপস্থিত ১৩ জন হলেন— অধ্যাপক জাফর ইকবাল, ড. এম আনোয়ার হোসাইন, প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, প্রফেসর এম আবুল কাশেম মজুমদার, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক লায়লুফার ইয়াসমিন, প্রফেসর ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, ড. নিয়াজ আহম্মেদ খান ও ড. বোরহান উদ্দিন খান।
সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া ৩০ জন হলেন— প্রফেসর ইমেরিটাস ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক এম জাফর ইকবাল, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারি, অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসাইন, অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, প্রফেসর এম আবুল কাসেম মজুমদার, অধ্যাপক ড. বোরহানউদ্দিন খান, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী ভিসি ড. ফারজানা ইসলাম, অধ্যাপক আকতার হোসেন, অধ্যাপক লায়লুফার ইয়াসমিন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আতিকুল ইসলাম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. তানভীর হাসান, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী।
এছাড়াও তালিকায় ছিলেন, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউ ল্যাব) অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক ড. মোহাব্বত খান, অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের হোসেন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ড. তাসলিম আরিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম ও অধ্যাপক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আক্তার।
সংলাপে উপস্থিত হওয়া অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ এর আগে সারাবাংলাকে বলেছিলেন, আমি ইসির আমন্ত্রণ পেয়েছি এবং ইসির সংলাপে অংশগ্রহণ করব।
সংলাপে অংশ নিয়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে কোনো প্রস্তাব দেবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসির সংলাপে অংশগ্রহণ করার পর বুঝতে পারব তারা কেন শিক্ষাবিদদের ডেকেছেন। সেটা জানার পর বুঝতে পারব কী বলা উচিত।
সংলাপ প্রসঙ্গে অশোক কুমার দেবনাথ সারাবাংলাকে বলেন, সংলাপে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে আগামী নির্বাচনগুলো কিভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা যায় এ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মতামত শুনব।
ইসির অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, প্রত্যেক সপ্তাহের একদিন আমরা সংলাপে বসার চেষ্টা করব, সেটা হতে পারে রোববার। তিনি বলেন, প্রথমধাপের সংলাপের পর দ্বিতীয় সংলাপে সমাজের সুশীল সমাজের ৩০ থেকে ৪০ জনের সঙ্গে বসবে কমিশন।
আরও পড়ুন: সংলাপ শুরুর প্রথমদিনে ৩০ শিক্ষাবিদের সঙ্গে বসছে ইসি
ইসি সূত্র জানায়, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত কমিশনের আনুষ্ঠানিক কোনো সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে নির্বাচন কমিশনাররা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সিমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধির সঙ্গে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে ২০১৭ সালে কেএম নুরুল হুদা কমিশনও দায়িত্ব নেয়ার পর সমাজের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে ওই সংলাপ শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে নুরুল হুদা কমিশন ৪০টি রাজনৈতিক দল, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসিসহ চার কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এবং আনিছুর রহমান। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইসির বাকি চার সদস্য শপথ নেন। পরদিন ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশন ইসিতে যোগদান করেন।
সারাবাংলা/জিএস/এএম