Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজনৈতিক কর্মকৌশল নির্ধারণে বৈঠকে বসছে ১৪ দল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ মার্চ ২০২২ ২২:২১

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠের কর্মকৌশল নির্ধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ১৫ মার্চ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ১৪ দল। এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় জোটনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠেয় গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতারা ছাড়াও আওয়ামী লীগের কয়েক জন নেতা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

জোটের শরিক নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, রাজনীতির মাঠে বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলায় ১৪ দলীয় জোটের ভূমিকা কী হবে- সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে কর্মকৌশল চূড়ান্তসহ নানা দিক নিয়ে বৈঠক হবে। ১৫ মার্চের বৈঠকের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।

এদিকে জোট শরিকদের অনেকেই মনে করছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শরিকদের যথাযথ মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন থেকে সীমিত পরিসরে গণভবনে আওয়ামী লীগের কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক হয়নি। জোট নেতারা শুধুমাত্র দিবসভিত্তিক কার্যক্রমের মধ্যে আটকে ছিল। এমনকি শরিকদের পক্ষ থেকে বার বার তাগিদ দেওয়ার পরেও বিষয়গুলোকে আমলে না নেওয়ায় ইতোমধ্যে তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে জোটনেত্রী শেখা হাসিনা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন তারা।

জোট নেতাদের মতে, রাজনৈতিক পারিপার্শ্বিক অবস্থা, বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে এখন থেকেই নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হবে। বর্তমান বাস্তবতা বা প্রেক্ষাপটে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টিও স্থান পাবে আলোচনায়। একইসঙ্গে আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রয়োজনে জোটনেত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ ও মতামত কী- সে বিষয়েও অবহিত হবেন জোট নেতারা।

২০০৮ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ২৩ দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ১৪ দলীয় জোট। ওই সময় থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোটগতভাবে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নেয় জোটের শরিকরা। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে শরিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে প্রতিনিধিত্ব নেই শরিকদের।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আশানুরূপ আসন না পাওয়া ও সরকারের মধ্যে প্রতিনিধিত্ব না থাকায় অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়। তারপরও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বৃহৎ স্বার্থের কথা বিবেচনায় অঙ্গীকারবদ্ধ জোট শরিক নেতারা। এ অবস্থায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে গত শুক্রবার ১৪ দলীয় জোটের ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায়ও জোট শরিকরা ১৪ দলীয় জোটকে সক্রিয় করার দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবদুল জলিল জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে। অসুস্থ ও বয়সের ভারে চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ায় নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয় আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমকে। কিন্তু করোনা মহামারির মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ নাসিম। এর পরেই ১৪ দলীয় জোটের ভার তুলে দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর হাতে।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

১৪ দল গণভবন বৈঠক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর