Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ট্রেনের অনলাইন টিকেট বিক্রি বন্ধ থাকবে ৫ দিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ মার্চ ২০২২ ১৪:৫৩

ঢাকা: আগামী ২০ মার্চ মধ্যরাত থেকে ২৫ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রেনের অনলাইন টিকেট বিক্রি সেবা বন্ধ থাকবে। এই পাঁচ দিন সব টিকেট কিনতে হবে কাউন্টারে সশরীরে উপস্থিত হয়ে। এরপর ২৬ মার্চ থেকে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কম্পিউটারাইজড টিকেটিং সিস্টেম ফের চালু করা হবে।

সোমবার (১৪ মার্চ) রেলপথ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য জানান রেলপথ বিষয়ক মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন টিকিট বিক্রির সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, এতদিন রেলের টিকেট বিক্রির দায়িত্ব পালন করে আসছিল সিএনএস নামক একটি প্রতিষ্ঠান। পরে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পেয়েছে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি। তাদের সঙ্গে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি সই হয়েছে। সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের এই পরিবর্তনের কারণে পাঁচ দিন টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হচ্ছে।

রেল‌মন্ত্রী বলেন, রেলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। মানুষকে আরও ভালো সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা নতুন কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছি। রেলওয়ের টিকেট বিক্রিতে স্বচ্ছতা আনা ও টিকিট সহজলভ্য করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। রেলওয়ের টিকেট বিক্রির নিজস্ব  সক্ষমতা এখনো গড়ে না ওঠার কারণেই রেলপথ মন্ত্রণালয়কে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, চুক্তি অনুযায়ী সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি প্রাথমিকভাবে চলমান সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি সচল রাখবে এবং আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি বিআরআইটিএস দিয়ে প্রতিস্থাপন করবে। তবে আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত সিএনএস লিমিটেড রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের কম্পিউটারাইজড টিকেটিং সেবা দিয়ে যাবে। এরপর সহজের নতুন কম্পিউটার টিকেটিং সিস্টেম পুনরায় সচল রাখার জন্য সিস্টেমে কিছু কাজ করতে হবে, যার জন্য প্রয়োজন হবে পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিন সব টিকিট কাউন্টার থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বিক্রি করা হবে। এরপর ২৬ মার্চ থেকে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কম্পিউটারাইজড টিকেটিং সিস্টেম পুনরায় চালু করা হবে।

বিজ্ঞাপন

ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাঁচ দিনের পরিবর্তে দুই দিনের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে এবং এ ক্ষেত্রে সব টিকিট উন্মুক্ত থাকবে। কোনো কোটা বা আসন সংরক্ষণ করা থাকবে না।

বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটারভিত্তিক টিকেটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। এসব টিকিটের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট অনলাইন/মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

নূরুল ইসলাম সুজন রেলপথ বিষয়ক মন্ত্রী রেলের টিকিট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর