প্রতিবন্ধী নারী হত্যায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১৪ মার্চ ২০২২ ১৬:৩৯
ঢাকা: ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর সামরিনা সুলতানা রুনা (৪০) নামে এক প্রতিবন্ধীকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকার ১ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাস কারাভোগ করতে হবে।
সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন মো. জুলহাস এবং তার প্রেমিকা ডলি আক্তার। সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া এ তথ্য জানান।
রায় ঘোষণার আগে জুলহাসকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ডলি পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়— জুলহাস ও ডলি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তার পরিবারের অনিচ্ছায় পালিয়ে যায়। ভাসানটেকে তারা স্বামী-স্ত্রীর মত বসবাস করে। বিয়ের জন্য এক লাখ টাকা লাগবে। এ জন্য জুলহাস ডলিকে টাকার জন্য চাপ দেয়। টাকা দিতে না পারায় জুলহাস ডলিকে বলে তার কথামতো চলতে হবে। ডলি তাতে রাজি হয়। পরে জুলহাস ডলিকে সামরিনা সুলতানা রুনার বাসায় নিয়ে যায়। দারোয়ান তাদের বাসায় ঢুকতে বাধা দেয়।
অভিযোগে বলা হয়— ডলি দারোয়ানকে বলে তার মা ৫ম তলায় কাজ করে। তারপরও দারোয়ান তাদের ঢুকতে দেয়নি। পরে সন্ধ্যার দিকে ডলি আবার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে। ডলি দারোয়ানের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে জুলহাস বাসায় ঢুকে যায়। পরে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ডলি তার ভাই জাকিরকে নিয়ে ভেতরে চলে যায়। জাকির সিঁড়িতে দাঁড়ানো ছিল। প্রথমে রুনার বাসায় কাজের জন্য দরজা নক করে ডলি। রুনা না করে দেয়। পরে পানি খাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে ডলি। রুনা পানি আনতে গেলে তারা বাসায় ঢুকে পড়ে। এরপর তারা রুনাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর তার বড় বোন রোজিনা সুলতানা অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর জুলহাস ও ডলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে জুলহাস ও ডলিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন পল্লবী জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মফিদুল ইসলাম আকন্দ।
সারাবাংলা/এআই/একে