ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষ উন্নত সমৃদ্ধ জীবন পাবে সুখে শান্তিতে বাস করবে। কিন্তু আরাধ্য কাজ শেষ করার আগেই তিনি ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন। তার সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার লক্ষ্য, আমি এর বিনিময়ে কোনো কিছু আশা করি না।
সোমবার (১৪ মার্চ) গণভবনে এমইটি প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত ইনোভেশনস ‘টেকনোলজিস, গর্ভরনেন্স গ্লোবালাইজেশন’ শীর্ষক জার্নালেট গ্রহণের সময় ফিলিপ অ্যাকুয়াসওয়াইল্ড এবং ইকবাল জেড কাদিরের সঙ্গে মতবিনিয়মকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় সিআরআই’র ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জার্নালেটের ওই সংখ্যাটিতে প্রধানমন্ত্রীর ‘স্ট্রাভিং টু দ্য আইডলস অব মাই ফাদার’ শীর্ষক একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক কৌশিক বসু, সম্পাদক ইকবাল জেড কাদিরসহ ৭ জন বিশিষ্ট লেখকের লেখাও রয়েছে। লেখাগুলোতে বিগত ৫০ বছরে, বিশেষ করে ১৩ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রযাত্রা সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।
মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকার পরিকল্পিতভাবে বিভিন্নখাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার ফলেই আজকের এই অর্জন।’
‘স্ট্রাভিং টু দ্য আইডলস অব মাই ফাদার’ শীর্ষক লেখাটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, নির্বাসনের দিনগুলো, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং জনগণের কাছাকাছি যাওয়া, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত তার সরকারের কৃষি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, অবকাঠামো, আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরেছেন।
ইনোভেশনস এর সম্পাদকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং দেশের জলবায়ু মোকাবিলায় তার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রম তুলে ধরে একটি নিবন্ধ লেখার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী তাদের অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দেন।
