Saturday 05 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা রিজেন্সির ৫৮ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৪ মার্চ ২০২২ ১৮:৫৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের ২ মাসে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার গোপন বিক্রি তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৫৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা দায়ের করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

সোমবার(১৪ মার্চ) বিকেলে সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তিনি জানান, ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক অথেলো চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল গত ২৮ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করে। এতে ভ্যাট গোয়েন্দারা ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পান।

বিজ্ঞাপন

মইনুল খান আরও জানান, অভিযানের শুরুতে কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানের মূসক সংক্রান্ত ও বাণিজ্যিক দলিলাদি প্রদর্শনের অনুরোধ করা হলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (অর্থ) মো. মিজানুর রহমান সিদ্দিকী মূসক সংক্রান্ত নথি প্রদর্শন করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক দলিলাদি তল্লাশি করে বাণিজ্যিক বিক্রয় চালান এবং বিক্রয় রেজিস্টার জব্দ করা হয়।

এতে দেখা যায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ৫ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার ৭৯২ টাকার বিক্রয় তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এ সময় প্রতিষ্ঠান দাখিলপত্রে ৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ১৭৮ টাকা বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করেছে। দাখিলপত্রে ৪৭ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৪ টাকা বিক্রয় তথ্য গোপন করা হয়েছে। এর উপর পরিহার করা মূসক ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৯২ টাকা।

এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ ৫ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ টাকা প্রযোজ্য। তদন্তে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে মোট ৫ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার ৯৭৪ টাকার বিক্রয় তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এ সময় প্রতিষ্ঠান দাখিলপত্রে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮৭ টাকা বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করেছে। এতে দাখিলপত্রে ১ কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার ১৮৭ টাকা বিক্রয়তথ্য গোপন করেছে, যার উপর পরিহার করা মূসক ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৯৭৮ টাকা।

এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ ১৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬৭ টাকা প্রযোজ্য। হোটেলটিতে মাত্র ২ মাসে মূসক বাবদ ৩৬ লাখ ২ হাজার ৬৭০ টাকা এবং সুদ বাবদ ২১ লাখ ৮৯ হাজার ১৮৬ টাকাসহ সর্বমোট ৫৭ লাখ ৯১ হাজার ৮৫৬ টাকার ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে।

তদন্তে উদঘাটিত পরিহার করা ভ্যাট আদায়ের আইনানুগ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে মামলাটি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা উত্তরে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অধিকতর মনিটরিং করার জন্যও সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এসজে/পিটিএম

ঢাকা রিজেন্সি ভ্যাট ফাঁকি মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর