সিজিএ সমবায় সমিতির সভাপতি রফিকুলের যাবজ্জীবন
১৪ মার্চ ২০২২ ২০:১৩
ঢাকা: ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সিজিএ সমবায় ঋণদান লিমিটেডের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন (দুই মামলায় পৃথক ভাবে) কারাদণ্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৪ মার্চ) বিকেলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত আসামির উপস্থিততে এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সমিতির ক্যাশিয়ার আবদুল কাদেরকে দুই মামলায় সাত বছর করে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এক মামলায় দুই আসামিকে ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৫ টাকা টাকা অর্থদণ্ড এবং আরেক মামলায় এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৪ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
রায় ঘোষণার আগে রফিকুল ইসলাম আদালতে হাজির হন। তবে আরেক আসামি আবদুল কাদের জামিনে থাকলেও আদালতে হাজির হননি।
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৪ টাকা এবং ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রমনা থানায় পৃথক দু’টি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ফজলুল হক। মামলাটিতে সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, অডিটর জহিরুল ইসলাম এবং ক্যাশিয়ার আবদুল কাদেরকে আসামি করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা সরকারি দফতরের অডিটর হিসেবে সুদীর্ঘকাল চাকরি করেন। কিন্তু তারা অসৎ উদ্দেশ্যে সমিতির আয়-ব্যয়ের কোনো অডিট করাননি, যথাযথভাবে আর্থিক হিসাব ও রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ বা হালনাগাদ করেননি। এমনকি দৈনিক/মাসিক/বার্ষিক আয়-ব্যয়ের ব্যালেন্সশিট তৈরি করেননি। নিয়মিত সভা বা সমিতির অন্যান্য সদস্যদের সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে দেননি। তারা সমিতির অর্থ-সম্পদের রক্ষক হয়ে পরস্পর যোগসাজসে ২০১০ সালে এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৪ টাকা এবং ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৫ টাকা আত্মসাৎ করেন।
২০১৯ সালের ২৭ মার্চ মামলা দু’টি তদন্ত করে রফিকুল ইসলাম ও আবদুল কাদেরকে অভিযুক্ত করে পৃথক দু’টি চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ। জহিরুল ইসলাম মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
মামলাটিতে ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
সারাবাংলা/এআই/এমও